সাউদাম্পটনে প্রথম টি–টোয়েন্টিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ২৮ রানে পরাজিত করে তিন ম্যাচের সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেডের মূল্যবান ৫৯ রানের পর লেগ স্পিনার এ্যাডাম জাম্পার ২ উইকেট অষ্ট্রেলিয়ার জয়কে ত্বরান্বিত করে। ওপেনিং ব্যাটার হেডের দ্রুতগতির হাফসেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাটিং থেকে অস্ট্রেলিয়া ১৯.৩ ওভারে ১৭৯ রানে অল আউট হয়। জবাবে জাম্পার ২০ রানের ২ উইকেটে সুবাদে ইংল্যান্ডের ইনিংস ১৫১ রানেই গুটিয়ে যায়।
সাদা বলের কোচ ম্যাথু মটকে বরখাস্ত করার পর এটাই ইংল্যান্ডের প্রথম সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল। ৭.৪ ওভাবে ৫২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে এক সময় বেশ চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। তার থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ওভারে জস হ্যাজেলউডের গতির কাছে নতি স্বীকার করে ওপেনার উইল জ্যাকস ৬ রানে বিদায় নেবার পর আরেক ওপেনার ফিল সল্টকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন অভিষিক্ত জর্ডান কক্স। কিন্তু ৪.৩ ওভারে জেভিয়ার বারট্লেটের বলে টিম ডেভিডের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেন কক্স (১৭)। ইনজুরিতে থাকা নিয়মিত অধিনায়ক জস বাটলারের স্থানে অস্থায়ী দায়িত্ব পালন করা সল্ট (২০) দলীয় ৪৬ রানে পরের ওভারেই এ্যাবটের শিকারে পরিণত হন। আরেক অভিষিক্ত জ্যাকব বেথেল মাত্র ২ রানে জাম্পার বলে বোল্ড আউট হলে ৫২ রানে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
লিয়াম লিভিংস্টোন (৩৭) মার্কোস স্টোয়িনিসের এক ওভারে মিড উইটকে দিয়ে একটি বড় ওভার বাউন্ডারি ও দুটি বাউন্ডারির শট খেলেন। স্যাম কারানকে সাথে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে লিভিংস্টোন ৫৪ রানের স্বস্তিকর জুটি গড়ে তুলেন। ১০৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ১৪তম ওভারে ১০৮ রানেই পরের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। বিপদজনক হয়ে ওঠার আগে জেমি ওভারটনকে (১৫) বেশীদূর এগুতে দেননি জাম্পা।
এর আগে টস জয়ী ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে আহবান জানায়। ওপেনার হেডের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে বড় স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। কারানের এক ওভারে হেড তিনটি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির সহায়তায় ৩০ রান যোগ করেন। হেড ২৩ বলে ৮টি বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারির সহায়তায় ৫৯ রান সংগ্রহ করেছেন। লিভিংস্টোন ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। সিরিজের পরের ম্যাচ আজ শুক্রবার কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত হবে।