জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানে স্বজন হারানো পরিবারের পুনর্বাসন, দীর্ঘমেয়াদি সম্মানীভাতা এবং অন্তত একজন সদস্যের চাকরির ব্যবস্থা করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। গতকাল শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ এই শিরোনামে সহায়তা প্রদান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। সারজিস বলেন, পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে আর্থিক সহযোগিতা হোক, দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন হোক, আমাদের শহীদ ভাইদের পরিবার থেকে অন্তত একজনের বিভিন্ন জায়গায় চাকরির ব্যবস্থা হোক, আমাদের যারা আহত ভাইরা রয়েছে, তাদের পুনর্বাসন কিংবা দীর্ঘমেয়াদি সম্মানীভাতা থেকে শুরু করে সকল পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রথম ধাপে ৫০টি শহীদ পরিবারের প্রত্যেকের হাতে ৫ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক তুলে দেন নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ। সকাল নয়টার প্রথম ধাপের আয়োজন শুরু হলেও বেলা সাড়ে ১২টায় মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সারজিস বলেন, এটি মাত্র শুরু। এ ফাউন্ডেশন কয়েক মাসের জন্য না, অন্তর্বর্তী সরকার যে কিছু দিন থাকবে, ওই কিছু দিনের জন্য এ ফাউন্ডেশন নয়। আমরা প্রয়োজনে এ ফাউন্ডেশনকে জীবনের বিনিময়ে বাঁচিয়ে রাখব। যতদিন আমাদের একজনও আহত ভাই বেঁচে থাকবে, যতদিন শহীদ পরিবারের সদস্যরা থাকবেন।
যেভাবে আহতদের পাশে দাঁড়ানোর দরকার ছিল, যেভাবে ‘শহীদ পরিবারের পাশে’ দাঁড়ানোর প্রয়োজন ছিল, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নতুন একটি পর্যায়ে নতুন ঘটনা সৃষ্টির পরিক্রমায় ঠিক সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি বলে স্বীকার করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা এই ছাত্রনেতা। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সন্তান হিসেবে হোক, ভাই হিসেবে হোক এতটুকু আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি তখনও ছিল না, এখনও নেই, সামনেও থাকবে না। আমাদের যথেষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। সারজিস বলেন, আমার যদি নিজেদের একটু গুছিয়ে নিতে পারি তাহলে খুব দ্রুত, আমাদের ইচ্ছা রয়েছে আমরা প্রত্যেক বীর শহীদ ভাইদের বাড়িতে যাব। আমরা আমাদের ভাইদের সঙ্গে, বাবাদের সঙ্গে, বোনদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে তাদের কথাগুলো শুনব।