চন্দনাইশে এক ঘর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম জাহিদুল ইসলাম (১৯)। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার দুর্গম ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ক্যাম্পপাড়া থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. হুমায়ুন কবির। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পপাড়া এলাকার মৃত আবদুল ছালামের স্ত্রী চার সন্তানের জননীর (৪০) ঘরে যাওয়া আসা ছিল একই এলাকার মৃত আয়ুব আলীর পুত্র জাহিদুল ইসলামের (১৯)। সে সুবাদে তার ঘরে সে কাজকর্মও করতো। এক পর্যায়ে ঐ মহিলার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্থানীয়রা আরো জানান, ঐ মহিলার ১ম স্বামী মারা যাবার পর ২য় বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছর ধরে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে কোন রকম যোগাযোগ নেই।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার জাহিদুল ইসলাম তার ঘর থেকে বের হওয়ার পর আর ঘরে ফিরে আসেনি। জাহিদুল ঘরে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাদের সকল আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নেন। পরবর্তীতে গতকাল শুক্রবার সকালে মহিলার ঘরে খোঁজ নিতে গেলে তার বসতঘরের বারান্দায় জাহিদুল ইসলামের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জাহিদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। এদিকে ঐ মহিলা চন্দনাইশ থানায় গিয়ে তার বসত ঘরে যুবকের লাশ পড়ে থাকার বিষয়টি পুলিশকে জানায় এবং সন্দেহ হলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে। এ ব্যাপারে নিহত জাহিদুল ইসলামের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম জানান, ঐ মহিলা তার ভাইকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ধোপাছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বেলাল উদ্দীন জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জাহিদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করি।
চন্দনাইশ থানার ওসি (তদন্ত) মজনু মিয়া জানান, স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে মহিলার সাথে নিহত যুবকের পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারি। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঐ মহিলাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হলে এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।