রাঙ্গুনিয়ায় ভোটের মাঠে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। তবুও ভোটের যাবতীয় আয়োজন করা হচ্ছে। আগামীকাল ২১ মে এখানে ভোট হবে।
জানা যায়, রাঙ্গুনিয়ায় শুধুমাত্র ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। এই পদে শেখর বিশ্বাস ও ওমর ফারুক এই দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু সমপ্রতি শেখর বিশ্বাসকে সমর্থন জানিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওমর ফারুক নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে নির্বাচনী মাঠে শেখর বিশ্বাসের আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রইল না। কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ায় একক প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও চলছে ভোট গ্রহণের আয়োজন। ইতিমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি রাঙ্গুনিয়ায় এসেছেন বিজিবি সদস্যরা। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ, তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও দায়িত্ব বণ্টনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু ভোটের এতোসব আয়োজনের মাঝেও ভোটারদের এই নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। অনেকে জানেন–ই না কখন ভোট গ্রহণ করা হবে। নিয়ম রক্ষার এই নির্বাচনের জন্য উল্টো কোটি কোটি টাকার আর্থিক ব্যয় হবে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
আবদুল করিম নামে একজন জানান, ‘ভাইস চেয়ারম্যান পদে এখন একক প্রার্থী, তবুও ভোট হচ্ছে। অথচ এই ধরনের নির্বাচনের প্রতি মানুষের আগ্রহ নেই। রাঙ্গুনিয়ার এই ভোট কখন হবে তা অনেকে জানেন–ই না। এই ভোট আয়োজনের জন্য শুধু শুধু সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হবে।’
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান মেহেবুব বলেন, একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অপর প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে। কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ায়
সরকারিভাবে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই ব্যালট পেপারে দুই প্রার্থীরই প্রতীক আসবে। তিনি আরো বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় নির্বাচনের ৯৫টি কেন্দ্রের ৬২১টি বুথে ভোট গ্রহণে জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণের জন্য পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি ৪ প্লাটুন বিজিবি, ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রত্যেকটির জন্য ১ জন করে ১৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়ন থাকবে। এই নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা হল ২ লাখ ৯৮ হাজার ৬৭৯ জন।
জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও শেষ মুহূর্তে শেখর বিশ্বাসকে সমর্থন জানিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওমর ফারুক নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে শেখর বিশ্বাসের জয় অনেকটা নিশ্চিত।