প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে

| বৃহস্পতিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক আজাদীতে গতকাল ‘আমিন জুট মিলের যন্ত্রপাতি স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রির প্রক্রিয়া’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন আমিন জুট মিলসের প্রকল্প প্রধান কামরুল হাসান।

এক প্রতিবাদপত্রে আমিন জুট মিলের যন্ত্রপাতি স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রির প্রক্রিয়ার ব্যাপারটি সঠিক এবং বাস্তবসম্মত নয় বলে দাবি করে উল্লেখ করা হয় যে, বিজিএমসি তথা সরকারকে হেয় করতে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। বাস্তবিক অর্থে ২০২০ সালের ১ জুলাই সরকারি সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পাটখাতের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার উদ্দেশ্যে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে আমিন জুট মিলের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি, জায়গাজমি ও যন্ত্রপাতি মিলের নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরী, কর্মকর্তাকর্মচারী ও আনসার সদস্য দ্বারা নিরাপত্তা বেষ্টনিতে রয়েছে। মিলের কোনো জমি উৎপাদন বন্ধের পরে বেদখল হয়নি।

এই মিলে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য গত ১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহায়তায় চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে বলেও প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদকের বক্তব্য : আমিন জুট মিল বন্ধ গত প্রায় চার বছর ধরে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে এই কারখানার যন্ত্রপাতি প্রায় সবই নষ্ট হয়ে গেছে। এসব যন্ত্রপাতির অধিকাংশই বর্তমান যুগে অচল বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন। অচল যন্ত্রপাতিগুলো স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রির ব্যাপারে সরকার চিন্তাভাবনা করছে এবং কারখানাটির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় করণীয় নির্ধারণ করতে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। বিষয়টি সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে। এতে সরকার কিংবা বিজিএমসিকে হেয় করতে কোনো তথ্য পরিবেশিত হয়নি। তাছাড়া সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে এমন তথ্যও সংবাদে উল্লেখ করা হয়নি। অচল যন্ত্রপাতিগুলো লোহালক্কড়ে পরিণত হয়েছে এবং এগুলো দিয়ে আর উৎপাদন চালানো সম্ভব নয় বলেও সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালী যুবলীগের কমিটি বাতিল করার দাবি
পরবর্তী নিবন্ধআনজুমানে আশেকানে মদিনার মাহফিল কাল