প্যাসিফিকের ৮ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ at ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম ইপিজেডের প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের বন্ধ ঘোষণা করা আটটি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গতকাল সকালে বিক্ষোভ করেছেন একদল শ্রমিক। সকাল ৯টার দিকে প্যাসিফিক গ্রুপের বিভিন্ন কারখানার সামনে কয়েকশ শ্রমিক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ ও বেপজা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শেষে শ্রমিকেরা ফিরে যান।

সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহান বলেন, প্যাসিফিকের বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রমিকরা অনেকেই সেটি জানতেন না। তারা সকালে কাজে যোগ দিতে আসেন। তারা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান। পরে শিল্প পুলিশ ও থানার পুলিশ এবং ইপিজেড কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তারা চলে গেছেন।

ইপিজেড থানা পুলিশ জানিয়েছে, প্যাসিফিকের বিভিন্ন কারখানা গতকাল শনিবার সকাল থেকে বন্ধ ছিল। সাতআটশ শ্রমিক এসে সকাল থেকে জড়ো হন। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের সাথে কথা বলে তারা চলে গেছেন।

শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গ্রুপটির আটটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে মালিক কর্তৃপক্ষ। কাজ বন্ধ রাখা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে প্যাসিফিক জিন্স, প্যাসিফিক জিন্স, প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস, প্যাসিফিক অ্যাঙেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ারকওয়্যারস, ইউনিভারসেল জিন্স, এইচটি ফ্যাশন, জিন্স ২০০০।

গত ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম ইপিজেডে অবস্থিত প্যাসিফিক গ্রুপের কিছৃ শ্রমিককর্মচারী পুলিশের হয়রানির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করে। ১৪ অক্টোবর কয়েকটি কারখানায় বিক্ষোভ হয়। বৃহস্পতিবার সব কটি কারখানায় বিক্ষোভের পাশাপাশি ভাংচুর ও কর্মকর্তারদের মারধর করার ঘটনা ঘটে।

প্যাসিফিক গ্রুপের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, পুলিশের একটি তদন্তকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে আসছিল। বৃহস্পতিবার তা তীব্র আকার ধারণ করে। শ্রমিকরা অনেক কর্মকর্তাদের মারধর করেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কারখানা চালু রাখার মতো পরিবেশ না থাকায় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানাগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন বলেও তারা জানান।

কারখানা বন্ধের নোটিশে বলা হয়েছে, কিছু শ্রমিক ১৪ অক্টোবর কাজ বন্ধ করে বেআইনিভাবে কর্রমবিরতি পালন করে। কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও কারাখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে এবং ১৫ ও ১৬ অক্টোবরও অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে উক্ত শ্রমিকরা নিজেদের মধ্যে মারামারি, কারখানা ভাংচুর, এবং কর্মকর্তা ও করমচারীদের শারীরিকভাবে আঘাত করে।

নোটিশে আরও বলা হয়, কারখানার শ্রমিকদের এ ধরনের আচরণ বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইনের২০১৯ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘটের পর্যায়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে এবং শ্রমিকদের বাধার কারণে কারাখানা কাযক্রম চালু রাখা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রস্তাবিত ‘ফটিকছড়ি উত্তর’ উপজেলা থেকে অংশবিশেষ বাদ দেয়ার দাবি
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পাঁচ স্তম্ভের উপর