একচল্লিশ হাজার ৭৯৫ ফুট উচ্চতা থেকে শূন্যে লাফ দেওয়ার পর সবকিছু ঠিক থাকলেও প্যারাশুট ওড়ানোর সময় বেঁধে যায় বিপত্তি। বারবার পাক খাওয়ায় কারণে পেঁচিয়ে যায় প্যারাশুটের ২৮টি দড়ি। এরপর ৩০ সেকেন্ড উল্টো ঘুরে সেই প্যাঁচ খুলে সফলভাবে বাংলাদেশের পতাকা হাতে মাটিতে নামেন আশিক চৌধুরী। গিনেস রেকর্ড গড়তে স্কাইডাইভিংয়ের দুঃসাহসিক অভিযানের এমনই গল্প শোনালেন এই বাংলাদেশি যুবক। খবর বিডিনিউজের।
পেশায় ব্যাংকার হলেও ২০১২ সাল থেকে স্কাইডাইভ করে সিদ্ধহস্ত হয়েছেন আশিক। অনেকবারই বিভিন্ন উচ্চতা থেকে লাফ দিয়েছেন তিনি। তবে এবারের লক্ষ্য ছিল সবচেয়ে বড় পতাকা হাতে সর্বোচ্চ উচ্চতা থেকে লাফ দিয়ে রেকর্ড গড়ার। ঢাকার গুলশানে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) অফিসে গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে স্কাইডাইভিংয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন তিনি। আশিক জানান, ছয় মাস ধরে প্রস্তুতি নেওয়ার পর গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে বিমানে ৪১ হাজার ৭৯৫ ফুট উচ্চতায় উঠে লাফ দেন। তার হাতে ছিল প্রায় ৭ বর্গফুট লম্বা বাংলাদেশের লাল–সবুজের পতাকা। তার দাবি, বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে এখন পর্যন্ত সবথেকে বড় পতাকা ওড়ানোর ঘটনা এটি। ‘পাইপার পিএ–ফরটি টু’ মডেলের একটি বিমান থেকে লাফ দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মাটিতে নেমে আসতে তার সময় লাগে তিন মিনিট। তার এই অভিযানে সহযোগী হিসেবে ছিল ইউসিবি। খরচ পড়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার ডলার।
আশিক বলেন, ‘আমার জন্য মোট তিনটি পতাকা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি আমি প্র্যাক্টিস জাম্পে হারিয়েছি, দ্বিতীয়টি মূল জাম্পে হারিয়েছি, আর শেষটি এখন আমার হাতে। পতাকাটি সাধারণভাবে তৈরি নয়। মূলত আর্মি প্যারাশুটাররা এমন কাপড়ের পতাকা উড়িয়ে থাকেন। এছাড়া এত উচ্চতায় পতাকা মেলে ধরতে ও সামলাতে বিশেষভাবে ডিজাইন করতে হয়। বিমান থেকে লাফ দেওয়ার পর ৩৭ হাজার ২৯৭ ফুট উচ্চতায় নেমে এসে পতাকা মেলে ধরি।’