কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী নিজ কার্যালয়ের সামনে হামলার শিকার হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভরত টমটম মালিক-শ্রমিকদের শান্ত করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ-ধর্মঘট পালন করেছে আওয়ামী লীগ ও দোকান মালিক সমিতি। এই ঘটনায় একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, মাসখানেক আগে কক্সবাজার শহরে চলাচলের জন্য নতুন করে ৫শ টমটমের (ইজি বাইক) লাইসেন্স দেয় কক্সবাজার পৌরসভা। কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে নতুন লাইসেন্সধারী টমটমকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে তা আটক করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে এই ধরনের প্রায় ৩শ টমটমকে আটক করে পুলিশ লাইন্সে রাখা হয়েছে। এনিয়ে ভুক্তভোগী টমটম মালিকরা বুধবার শহরে টমটম ধর্মঘটের ডাক দেন এবং পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভরতদের ‘শান্ত’ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। পরে পৌর কর্মচারীদের পাল্টা হামলায় আহত হন আরো কয়েকজন।
এদিকে প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমানের উপর হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ। এছাড়া কর্মবিরতি পালন করেছে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ।
এদিকে এই ঘটনায় সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা ও টমটম মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি রুহুল কাদের মানিকসহ ১৫-২০ জনকে আসামি করে পৌরসভার পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে এবং মামলার প্রধান আসামি মানিকসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি শেখ মুনীরুল গীয়াস। প্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন- আবদুল হামিদ ও মোহাম্মদ মুছা।
প্যানেল মেয়র-২ হেলাল উদ্দিন কবির জানান, মাহবুবর রহমান চৌধুরীর উপর হামলার প্রতিবাদে যে কর্মবিরতি শুরু করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
