কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করেও সুবিধা করতে পারেননি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ী নেতারা। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত তৈরি পোশাক ও বস্ত্র কারখানা বন্ধই থাকছে। ফলে করোনার সংক্রমণের এই উচ্চঝুঁকির মধ্যে শ্রমিকেরা নিজ নিজ অবস্থানে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন।
অবশ্য টানা দুই সপ্তাহ কারখানা বন্ধ থাকায় নানাভাবে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি করছেন পোশাক ও বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে শ্রমিকনেতারা বলছেন, কারখানা বন্ধের অজুহাতে শ্রমিকের জুলাই মাসের বেতন কম দেওয়ার সুযোগ খুঁজতে পারেন অনেক কারখানার মালিক। সে রকম কিছু ঘটলে সরকারের হস্তক্ষেপ লাগবে।
সর্বশেষ গত ২৩ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে, এই প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে সরকারের সঙ্গে দেনদরবারে নামেন পোশাক ও বস্ত্র খাতের পাঁচ সংগঠনের নেতারা। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত কিছুই কাজে আসেনি। শুধু চামড়া, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, ওষুধ, অঙিজেন ও করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন বিধিনিষেধের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, ঈদের ছুটির পর কারখানা খোলার বিষয়টি পুরোপুরিভাবে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। সরকার বিধিনিষেধ শিথিল করলেই কারখানা খোলা যাবে, এমন সিদ্ধান্ত আমরা আমাদের সংগঠনের সদস্যদের অবহিত করেছি। তবে রপ্তানি কার্যক্রম চলবে।












