কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান সংকটে গত বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজারে জ্বালানি তেলের সরবরাহ নেই। দুয়েকটি পেট্রোল পাম্পের আগে পে–অর্ডার করা থাকলেও ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অধিকাংশই পে–অর্ডার করতে পারেননি। ফলে জ্বালানি তেলের সরবরাহ পাচ্ছে না পেট্রোল পাম্পগুলো।
পেট্রোল পাম্প মালিকেরা বলছেন, তেল যা মজুদ আছে সেগুলো দিয়ে বড়জোর আর দুইদিন চলতে পারে। এরইমধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক না হলে তেলের চরম সংকট সৃষ্টি হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার কামিনী মোহন মহাজন অ্যান্ড ব্রাদার্সে অকটেন মজুদ ছিল ১৫ হাজার লিটার, ডিজেল ২৫ হাজার লিটার ও পেট্রোল ৬ হাজার লিটার। তবে গত কয়েকদিনে তা কমে এসেছে।
পেট্রোল পাম্পটির কর্মচারীরা বলছেন, কারফিউর মধ্যে জরুরি সেবার যানবাহন ছাড়া অন্যকোনো পরিবহনে তেল বিক্রির বিষয়ে নিষেধ আছে। জরুরি সেবার যানবাহনে বিক্রি করেও তেলের মজুদ অনেকাংশে কমে এসেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দুইদিনের মধ্যে মজুদ শেষ হয়ে যাবে।
কর্মচারীরা জানান, ডিপো থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করার জন্য ব্যাংকে পে–অর্ডার করতে হয়। কিন্তু ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকায় তারা ব্যাংকে পে–অর্ডার করতে পারেনি। তাই পদ্মা অয়েল কোম্পানি জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে প্রস্তুত থাকলেও নেওয়া যাচ্ছে না। কক্সবাজার জেলায় ৩৩টি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। এসব পাম্পের মধ্যে মাত্র ৩ থেকে ৪টি আগে পে–অর্ডার করেছিল। গত সোমবার তারা একটি করে জ্বালানি তেলের গাড়ি সরবরাহ পেয়েছে।