নির্বাচন অফিস থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে আগামীকাল শুক্রবার (১২ নভেম্বর) কিন্তু এসময় পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল।
দলীয় মনোনয়ন পেয়েই নৌকা প্রতীক দিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে এলাকায় প্রচার চালানো শুরু করেছেন তিনি।
এলাকার লোকজন জানান, গত ২৬ অক্টোবর ঢাকা থেকে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার ১ দিন পর থেকেই তিনি পোস্টার ছাপিয়ে এলাকায় প্রচার করেছেন এবং সেসব পোস্টার এখনো এলাকার বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে।
এদিকে, নির্বাচন অফিস থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার আগেই প্রতীক দিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে প্রচার চালানোটা চরম আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু রাজাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল প্রকাশ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রাজাখালী ইউনিয়নের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হুমায়ূন কবির বলেন, “আওয়ামী লীগ প্রার্থী নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরদিন থেকেই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তার ছবি সম্বলিত নৌকা প্রতীকের পোস্টার ছাপিয়ে প্রচার করেছেন। এই বিষয়টি আমরা উপজেলা নির্বাচন অফিসকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমরা মনে করি এটা অন্যান্য প্রার্থীদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। তাছাড়া, প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রতীক নিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে দিব্যি প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি অথচ কেউ কোনো কথা বলছেন না এটাই আশ্চর্য্যের বিষয়।”
রাজাখালী ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার সালামত উল্লাহ বলেন, “আমি বিষয়টি জানার পর মৌখিকভাবে তাকে নিষেধ করায় তিনি পোস্টারগুলো শুধু বাড়িতে লাগিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।”
এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার রেজাউল করিম বলেন, “বিষয়টি আমার নজরে নেই। ওই ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার শিক্ষা অফিসার। আপনি ওনার সাথে আলাপ করুন।”
পেকুয়া উপজেলার নির্বাচন সমন্বয়কারী ও পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুর্বিতা চাকমা বলেন, “আমার দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচনকালীন আইনশৃংখলা নিশ্চিত করা। আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি না সেটি দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার।”
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার এস এম শাহাদাত হোছাইন এ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রতীক দিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে এলাকায় কোনো প্রার্থী প্রচার করেছেন এমনটা যদি হয় তাহলে আমি বলব এটি মারাত্মক আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি এখনই সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিচ্ছি।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রার্থী নজরুল ইসলাম সিকদারের বক্তব্য জানার জন্য অনেকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।