পেকুয়ায় ঋণের বোঝা টানতে না পেরে মানসিক সমস্যায় ভোগা নুরুল আলম (২৬) নামের এক রিকশা চালক গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) ভোর ৫ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লাঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুল আলম একই এলাকার নুর মুহাম্মদের ছেলে। রিকশা চালক নুরুল আলম ২ সন্তানের জনক। তার ছোট সন্তানের বয়স ২৮ দিন। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের স্ত্রী রুজিনা আক্তার বলেন, ‘প্রতিদিনের মতোই আমার স্বামী রাতে যথাসময়ে এসে খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে তার রিকশাটি বের করার জন্য গাড়ি রাখার ঘরে যায়। আমরা ভেবেছি গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেছে। কিন্তু ছোট ভাই নুরুল ইসলাম গাড়ি রাখার ঘর থেকে তার গাড়ি বের করতে গেলে ঝুলন্ত অবস্থায় আমার স্বামীকে দেখতে পায়।’
প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের ছোট ভাই নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সকালে আমার গাড়িটি বের করার জন্য বাড়ির পাশে গাড়ি রাখার ঘরে যাই। ঘরে ঢুকে দেখতে পাই ঘরের আঁড়ির সাথে গলায় রশি দিয়ে আমার ভাইয়ের দেহ ঝুলছে। পরে তাকে তাকে দ্রুত পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।’ পিতা নুর মুহাম্মদ বলেন, ‘আমার দুই ছেলে ব্যাটারি চালিত রিকশা চালায়। বড় ছেলে নুরুল আলম কয়েকদিন আগে কঙবাজার থেকে একটি রিকশা কিনতে গেলে ছিনতাইকারীরা প্রায় দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া স্থানীয়ভাবেও কয়েকলাখ টাকা ধারদেনা নিয়ে পাওনাদারের চাপে ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল সে। আমিও গরিব মানুষ তাকে কোনো সহায়তা করতে পারিনি। ঋণের বোঝায় মানসিক সমস্যা থেকেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে আমার ধারণা।’
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, ‘রিকশাচালক নুরুল আলমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। কেন তিনি আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়টি তদন্তাধীন। তবে তার পরিবার কাউকে অভিযুক্ত করেননি।’