কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত পেকুয়া উপজেলার ২৩এপ্রিল ২০০২ সালে সূচনা হয়। প্রায় ১৩৯.৬৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১,৪৪০ জন (২০১১ আদমশুমারি অনুসারে)। তাই বলা যায় পেকুয়া একটি ঘনবসতিপূর্ণ উপজেলা। এই জনবহুল এলাকায় অনেক প্রতিভাশালী ও শিক্ষা অনুরাগী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য স্নাতক পর্যায়ের কোন কলেজ নাই। যার জন্য এই উপজেলার সাক্ষরতার হার মাত্র ৫০ শতাংশ। একবিংশ শতাব্দীতে এই সাক্ষরতার হার অত্যন্ত দুঃখজনক। ফলশ্রুতিতে অসংখ্য শিক্ষার্থীদের মেধার সুপ্ত বিকাশ এর পরিবর্তে অল্প শিক্ষায় তাদের প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবনের অবসান ঘটে যাচ্ছে দিন দিন। সাক্ষরতার হার কম হওয়ার অন্যতম কারণ প্রতিষ্ঠার দুই দশকের পরও এইখানে কোন সরকারি কলেজ নাই, শুধু তাই নয় দুটি বেসরকারি কলেজ থাকলেও, উচ্চশিক্ষা চর্চার কোন সুযোগ নাই। তাই উপজেলার অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য দূরদূরান্তে পাড়ি দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায়, স্বল্প শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। যা দেশ ও সমাজের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। যদি পেকুয়া উপজেলা কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তাহলে উপজেলার প্রতিভাশালী অসংখ্য শিক্ষার্থী অনতিবিলম্বে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। ফলে উপজেলা সাক্ষরতার হার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। এই প্রেক্ষাপটে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি শীঘ্রই যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে পেকুয়ার শিক্ষানুরাগী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য সুব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।
আসাদুজ্জামান সম্রাট, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।