পেকুয়ার লবণ চাষিদের উপর মহেশখালীর বাবু বাহিনীর গুলি

তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই এ ঘটনা, আহত ১১

পেকুয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া করিয়ারদিয়া লম্বাঘোনার লবণ চাষিদের উপর ব্যাপক গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মহেশখালীর আখতারুজ্জামান বাবু বাহিনীর ২০২৫ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ এ ঘটনা ঘটায় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল শনিবার দুপুরে পেকুয়ার দুর্গম ও বিচ্ছিন্নদ্বীপ করিয়ারদিয়ার মাঝের চর লম্বাঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১১ ব্যক্তি গুরুতর আহত হন।

পেকুয়া থানা পুলিশ জানায়, বাবু বাহিনীর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী লবণ চাষিরা লবণ চাষ ও মৎস্য চাষে বাধাদান ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করলে পেকুয়া থানার এসআই উগ্যজাই মার্মা একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতেই সন্ত্রাসীরা লবণ চাষিদের উপর গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়ায়। বাবু বাহিনীর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অন্তত ১০১২ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। পরে পুলিশ সাদেক হোসেন খোকা নামে বাবু বাহিনীর এক সদস্যকে আটক করেছে। আটক খোকা মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলা বাজার এলাকার মো. হোসেনের ছেলে।

লবণ চাষি ওয়াইজ উদ্দিন বলেন, কুখ্যাত অস্ত্রধারী আখতারুজ্জামান বাবু বাহিনী প্রায় ২শ একর লবণ মাঠ ও চাষিদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেখেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে সাধারণ কৃষকদের উপর গুলি বর্ষণ করে তার বাহিনী।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাসী আখতারুজ্জামান বাবু মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলার আফজলিয়াপাড়ার মৃত ছমির জালাল প্রকাশ কালুর ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা ধর্ষণ ডাকাতি চাঁদাবাজি প্রতারণাসহ ৩৫টি মামলা চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, উজানটিয়া করিয়ারদিয়া এলাকায় লবণ চাষিদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে মহেশখালী এলাকার বাবু নামের একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপএমন অভিযোগ পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতে গেলে পুলিশের সামনেই বাবুর গ্রুপ চাষিদের উপর গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একজনকে আটক করে। অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছাত্ররা আদর্শিক জাতিসত্তা গঠনের অন্যতম অনুঘটক
পরবর্তী নিবন্ধসুশৃঙ্খল জাতি গড়তে প্রশিক্ষিত প্রজন্ম প্রয়োজন