বিএনপির ঘোষিত হরতাল চলাকালে গতকাল কক্সবাজারের পেকুয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় সড়কে ব্যারিকেড দেয় হরতাল সমর্থকরা। এ সময় তারা কমপক্ষে ৩০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। সন্ধ্যার দিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা হাতঘড়ি প্রতীকের কল্যাণ পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নির্বাচনী কার্যে ব্যবহৃত একটি গাড়িতেও আগুন দেয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে গুলি চালান। এতে উপজেলা যুবদল সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুটসহ চারজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দফায় দফায় ব্যারিকেড দেওয়া হয় পেকুয়া উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের বাড়ির কাছে সিকদার পাড়া পয়েন্টে। এছাড়াও পেকুয়ার সাত ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিএনপির লোকজন।
আহত যুবদল সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট দাবি করেছেন, হরতালের সমর্থনে পেকুয়ার বিভিন্নস্থানে পিকেটিংসহ সড়ক অবরোধ করলে সন্ধ্যার দিকে বিজিবির সদস্যরা বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে তিনিসহ বেশ কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন।
পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাইফুদ্দিন খালেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, নির্বাচন বানচালের অংশ হিসেবে পেকুয়ায় শনিবার সারাদিন সড়কে নাশকতার করে বিএনপি। এ সময় তারা অন্তত ৩০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। যেখানে নির্বাচনে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় এবং কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে।
পুলিশের চকরিয়া ও পেকুয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. রকীব উর রাজা দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপির লোকজন পেকুয়ার বিভিন্নস্থানে সড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে নাশকতা চালায়। তবে আইন–শৃক্সখলা বাহিনীগুলো কঠোর অবস্থানে থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
এই ব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, আইন–শৃক্সখলা বাহিনীর সদস্যরা যে কোনো অপতৎপরতা রোধে মাঠে রয়েছে। যে কোনো মূল্যে অপচেষ্টা রুখে দেওয়া হবে।