পেকুয়ায় প্রধান শিক্ষকের দাঁত উপড়ে ফেলে দিল ভাতিজা

পেকুুয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৭ মে, ২০২৪ at ১০:২৫ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের পেকুয়া শিলখালী ইউনিয়ন সবুজপাড়া আশরাফ নুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে তার আপন ভাতিজা।

এ সময় তাঁর সামনের একটি দাঁত উপড়ে ফেলা হয়। পরে শিক্ষকের স্বজনরা তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রোববার (৫ মে) রাত ৯টার দিকে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের হেদায়তাবাদ এলাকায় এঘটনা ঘটলে আজ তা জানাজানি হয়।

আহত প্রধান শিক্ষক ইফতেহারুজ্জামান সোহেল (৪২) হেদায়তাবাদ এলাকার মৃত সাহাব মিয়ার ছেলে।

এদিকে শিক্ষকের উপর ন্যাক্করজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পেকুয়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

এক বিবৃতিতে সভাপতি হানিফ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, শিক্ষক হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। একজন শিক্ষকের উপর এ ধরনের বর্বর হামলা মেনে নেওয়া যায়না।

এর আগেও হামলাকারীরা আরেক শিক্ষকের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। ভেঙে দিয়েছিল বসতঘর। বার বার শিক্ষকের উপর হামলায় আমরা আর ঘরে বসে থাকতে পারিনা। প্রয়োজনে আন্দোলনের হুমকিও দেন নেতৃবৃন্দ।

আহত শিক্ষক সোহেল আজাদীকে বলেন, ওইদিন রাতে শিলখালী স্কুল স্টেশন থেকে চুল কেটে বাড়ি ফিরছিলাম। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা নুরুল কবির নন্নার ছেলে ছেহেরুল আনোয়ার বাবলা, তিনঘর পাড়ার মৃত বশির আহমদের ছেলে মো. আবু ছালেক, আহমদ কবিরের ছেলে মো.ছোটন ও নুরুল ইসলামের ছেলে নুরুল আমিন হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে।

এমনকি তাঁরা আমার একটি দাঁত উপড়ে ফেলে। আমার আর্ত চিৎকারে স্ত্রী ও ছেলে এসে আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে।

তিনি আরো বলেন, ছেহেরুল আনোয়ার বাবলা তাঁর আপন ভাতিজা। বসতভিটার জায়গা নিয়ে তাদের বিরোধ চলছে। বড় ভাই নুরুল কবির নন্না আমার মাকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে চায়। সামাজিকভাবে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে।

মায়ের ঘরে তাঁরা তালা ঝুলিয়ে দেয়। গত এক বছর আগে বৃদ্ধা মা ও আমাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ওই ঘটনায় মা বাদি হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাও দায়ের করেন।

সোহেলর মা মাবিয়া বেগম (৯২) বলেন, মামলা তুলে নিতে নন্না মিয়া ও তাঁর ছেলে বাবলা চাপ প্রয়োগ করছে। আমার ঘরে তাঁরা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এখন আমি ছোট ছেলে সোহেলের বাড়িতে থাকি। মামলা প্রত্যাহার না করায় সোহেলকে নিষ্টুরভাবে পিটিয়ে জখম করে। মারধরে একটি দাঁত পড়ে যায়।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ছেহেরুল আনোয়ার বাবলাকে ফোন দিলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় বাংলাদেশের
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বিমান বন্দরে ৩ কোটি টাকার সৌদি রিয়াল ও ডলার উদ্ধার