পেকুয়ায় কবরস্থান সংস্কারে বাধা, প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

| শনিবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর মেহেরনামা মছন্যাকাটা কেন্দ্রীয় কবরস্থানের সংস্কারকাজে বাধা দিয়ে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এতে প্রতিবাদ ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫ টায় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামা মছন্যাকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় আজিম উদ্দিন জানান, কবরের জায়গা সংকট হওয়া দীর্ঘদিন ধরে লাশ দাফন করতে বেশ ভোগান্তিতে পড়ে হয়।এলাকাবাসী সহায়তায় তহবিল গঠন করে স্থানীয় শওকত ওসমান কবরস্থানের লাগোয়া ৫ শতক জায়গা ক্রয় করে কবরস্থানে দান করে। ক্রয়কৃত জায়গায় স্থানীয় ইউপি সদস্য কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে সংস্কার করতে শ্রমিক পাঠলে বেলা ১২ টার দিকে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি শহিদুল ইসলাম হিরু এসে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধা দিয়ে তাড়িয়ে দেন।

এতে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম হিরুর শাস্তির দাবি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে স্থানীয় মনোহর আলম বলেন, মানুষের শেষ ঠিকানা কবরস্থান আর এ কবরস্থান সংস্কার কাজে বাধা দেয়া এটা জঘন্য কাজ ,আমরা শহিদুল ইসলাম হিরুর এমন জঘন্য কাজের শাস্তি দাবি করছি।

জমি দাতা শওকত ওসামন বলেন, কবরের জায়গা সংকট হওয়ায় কবরস্থান লাগোয়া ৫ শতক জমি ক্রয় করে কবরস্থানের জন্য দান করি, আমি শুনে অবাক হলাম এমন ধর্মীয় কাজে বাধা প্রদান করেছেন আমাদের মত আরেকজন মুসলমান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

কর্মসৃজন প্রকল্পের মাঝি কাইছার বলেন, কবরস্থানের সংস্কারকাজ চলাকালে শহিদুল ইসলাম হিরু এসে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিলে আমি ইউপি সদস্য নাছির উদ্দীনকে অবগত করি।

এ ব্যপারে ইউপি সদস্য নাছির উদ্দীন বলেন, মসজিদ, কবরস্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাঠ সংস্কার কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় রয়েছে, কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকরা মছন্যাকাটা কবরস্থান সংস্কারকাজ করার সময় স্থানীয় শহিদুল ইসলাম হিরু বাধা দেয়ার বিষয়টি শ্রমিকদের মাঝি কাইছার আমাকে ফোন করে জানান। পরে এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম হিরু ফোন করে কবরস্থান থেকে শ্রমিকদের নিয়ে যেতে বলেন।

শহিদুল ইসলাম হিরু কবরস্থানে কাজ করতে শ্রমিকদের বাধা দিয়েছে এ বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেবকে অবগত করি। প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম হিরুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে কবরস্থানে কাজ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি আছে কিনা জিজ্ঞেস করেছি। আমি কোন প্রকার বাধা প্রদান করিনি।

মানববন্ধনে আজিম, মনোহর আলম, জোবাইর, বাসেক,আনছার উদ্দিনসহ স্থানীয় মসজিদের মুসল্লি ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখলিলুর রহমান শিক্ষা কমপ্লেক্সের অনুষ্ঠানে এমপি মোতাহের
পরবর্তী নিবন্ধশিশু-কিশোরদের মনোজাগতিক উৎকর্ষ সাধনে বুদ্ধিবৃত্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে