পেকুয়ায় অপহৃত কলেজ শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফকে দ্রুত সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেতে গতকাল শুক্রবার দুপুরে নগরীর এক রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবারের সদস্যরা। এতে দুই বছরের শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে হাজির হন অপহৃত কলেজ শিক্ষকের স্ত্রী মেহবুবা আনোয়ার লাইজু।
লিখিত বক্তব্যে স্ত্রী মেহবুবা আনোয়ার লাইজু বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে পারিবারিক প্রয়োজনে আমার স্বামী বাড়ি থেকে বের হন। এরপর অনুমানিক রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ি না ফেরায় আমি তাকে ফোন করি। কিন্তু রিং হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে আমি পেকুয়া থানায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিখোঁজ ডায়েরি করি। ওইদিন বাদে এশা এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার স্বামীর জমি–জমা সংক্রান্তে বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ে শালিশের কথা ছিল। এর পর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে অজ্ঞাতস্থল থেকে আমার স্বামীর নম্বর থেকে শাশুড়িকে ফোন করে ছেলে অপহরণের শিকার হয়েছে বলে জানানো হয়। এরপর রাত ২টার দিকে আমাকে এবং শাশুড়িকে ফোন করে চট্টগ্রাম নগরীর ফ্রিপোর্ট এসে আমার স্বামীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন তারা। পরদিন ফ্রি পোর্ট এলাকায় গিয়ে স্বামীকে পাননি বলে জানান মেহবুবা আনোয়ার লাইজু। পরে মুক্তির জন্য ৩৫–৪০ লাখ টাকা দাবি করে তারা। পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর নতুন ব্রিজ পুলিশ বক্সের সামনে আমাকে যেতে বলেন অপহরণকারীরা। পাশাপাশি তারা হুমকি দিয়ে বলেন, ‘কোন চালাকি অথবা পুলিশ, র্যাব কিংবা আর্মির দ্বারস্থ হলে তোর স্বামীর মরদেহ পাবি।’ কিন্তু এরপর আবারও মোবাইল বন্ধ করে দেন অপহরণকারীরা। তবে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধা ৬ টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত উল্লেখিত মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আমার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ রাখে অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্বামীকে ফিরে পাইনি। এদিকে মোহাম্মদ আরিফকে অপহরণের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে পেকুয়া থানায় মামলা করেছেন তার ছোট ভাই মোহাম্মদ রিয়াদুল ইসলাম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।