পৃথিবীতে ভিনগ্রহবাসীদের উপস্থিতি বা কোনো আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট (ইউএফও) বিধ্বস্ত হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। সামপ্রতিক বছরগুলোতে আকাশে ভিনগ্রহবাসীদের উড়ক্কু যান নজরে আসার খবর তদন্ত করে দেখতে তৎপরতা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরটি। মার্কিন নৌবাহিনীর একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ফাইটার প্লেন থেকে পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক উড়ুক্কু যানের ভিডিও ধারণ করেছেন, এর আগে এমন কয়েকটি ভিডিও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে পেন্টাগন থেকেই। খবর বিডিনিউজের।
ভিডিওর বস্তুগুলোকে আনআইডেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনা (ইউএপি) নামে চিহ্নিত করলেও এর সঙ্গে ভিনগ্রহবাসীদের যোগসাজশের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পেন্টাগন। নিজস্ব সামরিক বাহিনীর সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত ছাড়াও বিভিন্ন সূত্র থেকে পৃথিবীর আকাশে অপরিচিত উড়ুক্কু যান দেখার খবর আসায়, ঘটনাগুলোর তদন্তে জোর দিচ্ছে মন্ত্রণালয়টি।
শুক্রবারে এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে আন্ডার সেক্রেটারি রোনাল্ড মোল্ট্রি বলেছেন, আমরা এখন পর্যন্ত তদন্তে এমন কিছু পাইনি যা পৃথিবীতে ভিনগ্রহবাসীদের উপস্থিতি, ভিনগ্রহবাসীদের যান বিধ্বস্ত হওয়া বা এমন কোনো কিছুর ইঙ্গিত দেয়।
তবে, ভিনগ্রহবাসীদের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা নাকচ করে দেননি পেন্টাগনের ‘অল- ডোমেইন অ্যানোমালি রেজুলিউশন অফিস (অ্যারো)’র পরিচালক শন কার্কপ্যাট্রিক। এর সম্ভব্যতা যাচাইয়ে বৈজ্ঞানিক কৌশল অনুসরণ করার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমি এটাই বলবো যে, আমরা পর্যালোচনা এমনভাবে সাজাচ্ছি যেন পুরো প্রক্রিয়া ক্রুটিবিহীন এবং কঠোর হয়। আমরা এর সব কিছুই তদন্ত করে দেখবো।
২০০৪ সালের পর থেকে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা ১৪৪টি ইউএপি দেখেছেন বলে গত বছরে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এর মধ্যে একটি বাদে আর কোনো ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা।
যথেষ্ট তথ্য-উপাত্তের অভাবে বাকি ১৪৩টি ঘটনার সঙ্গে কোনো ভিনগ্রহবাসী প্রাণীর সংশ্লিষ্টতা ছিল, নাকি চীন বা রাশিয়ার মতো বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীর হাত ছিল, নাকি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বা অসামরিক প্রকল্প জড়িত ছিল-সে বিষয়ে নিশ্চিত করে পারেননি মার্কিন কর্মকর্তারা।