পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ

নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতায় প্রভাব পড়বে না : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

| শুক্রবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাদের ‘বাজেট স্বল্পতার কারণে’ বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না বলে তাদের নিশ্চিত করেছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পর্যবেক্ষক দল না পাঠালেও বাংলাদেশের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতায় কোনো প্রভাব পড়বে না। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের সম্পর্ক নিয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। খবর বাংলানিউজ ও বিবিসি বাংলার।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল বক্তব্য হলো তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য পূর্ণাঙ্গ দল পাঠাবে না, তবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব প্রচেষ্টাকে তারা সহায়তা করবে। নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম দুপরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইইউ তাদের ইমেইলে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের বাজেট স্বল্পতার কথা উল্লেখ করেছে। যদিও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে বাজেট স্বল্পতার প্রসঙ্গ ছাড়াও ইইউ আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ করার বিষয়টি পরিষ্কার হয়নি বলেও ইমেইলে উল্লেখ করেছে। তবে এ চিঠিতে ইইউ বলেছে যে বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়াটা নিশ্চিত করতে তারা সব প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করবে।

প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে এখন পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। যে মুহূর্তে জানানো হবে, আমরা আপনাদের জানিয়ে দেব। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক আসা না আসাতে বাংলাদেশের সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজনে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতায়ও কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতীতের নির্বাচনগুলোও তাই বলে। এটি আমার আজকের প্রতিক্রিয়া। আমরা যখন অফিশিয়ালি জানব আরও বিস্তারিত জানাতে পারব।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউয়ের ৬ সদস্যের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল গত ৮ থেকে ২৩ জুলাই বাংলাদেশ সফর করে। সে সময় রাজনৈতিক দল, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তারা বৈঠক করেন।

নির্বাচনকালীন প্রশাসন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি যখন মতবিরোধে তখন ইইউয়ের এমন সিদ্ধান্ত এলো। আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। অন্যদিকে বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বলেছে, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও পর্যবেক্ষণ দল পাঠায়নি ইইউ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিষেক
পরবর্তী নিবন্ধস্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে প্রতিবেশিকে কুপিয়ে হত্যা