পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, এমন ঘটনা সংঘটিত হলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মরদেহের সুরতহাল করা হয়। ডাক্তারের মতামত, পোস্টমর্টেম ও তদন্তের ভিত্তিতে যে তথ্য উঠে আসে সেটি নিয়ে সবসময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সামনেও এ ধরনের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরের কর্ণফুলী থানাধীন ডাঙ্গারচর নৌ-তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ডাঙ্গারচর নৌ তদন্ত চালুর ফলে কেন্দ্র বন্দরের কাজ আরো গতিশীল হবে। শুধু বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তা নয়, বন্দর এলাকার নিরাপত্তার জন্য সিএমপির সঙ্গে এই ইউনিটের (নৌ পুলিশ) সমন্বয় থাকা দরকার। আমি মনে করি, নদীর নিরাপত্তার জন্য এই নৌ-তদন্ত কেন্দ্র ও নৌ-পুলিশ ফলপ্রসূভাবে কাজ করবে।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা ও অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এএসএম মাহাতাব উদ্দিনসহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য, রাজস্ব বাজেটের আওতায় ডাঙ্গারচর নৌ তদন্ত কেন্দ্রে টাইপ ১ অনুযায়ী ৬ তলা ভিত বিশিস্ট ২ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নৌ কেন্দ্রে ২ জন এসআই (নিরস্ত্র), ২ জন এএসআই (নিরস্ত্র), ২ জন এএসআই সশস্ত্র, ৩০ জন কনস্টেবল, এক জন বাবুর্চি ও একজন পরিচ্ছন্নকর্মীসহ মোট ৩৮ জনবল নিযুক্ত থাকবে।
এই নৌ তদন্ত কেন্দ্রের ভূমি বরাদ্দ দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু থেকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা পর্যন্ত এলাকায় দস্যুতা, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে নৌ-তদন্ত কেন্দ্র তাদের আওতায় থাকা এলাকায় টহলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।