পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া সেই শহীদুল্লাহর মামলায় কারাগারে এক আসামি

আজাদী অনলাইন | মঙ্গলবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৩:১৮ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশ হেফাজনে মারা যাওয়া দুদকের সাবেক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহর করা মামলায় এবার জেলে গেলেন জসিম নামের এক ব্যক্তি।

জীবিত থাকা অবস্থায় চাঁদা দাবি করার অভিযোগে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন মৃত মো. শহীদুল্লাহ। বাদী মারা যাওয়ার এক বছরের মাথায় মামলার তদন্ত কাযক্রম শেষে সমন ইস্যু পরবর্তী প্রধান আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক চাঁদবাজি মামলার প্রধান আসামি জসিম উদ্দিনের পক্ষে জামিন আবেদন করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল আলম। তবে অন্যান্য আসামির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

জানা যায়, ঐ মামলার বাদী হলেন, বহু আলোচিত চট্টগ্রাম চান্দগাঁও থানার পুলিশে হেফজাতে মৃত্যুর অভিযোগ তোলা সেই সাবেক দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ মোঃ শহিদুল্লাহ। মারা যাওয়ার আগেই এস এম জসিম উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে এবং আরো ৮ জনের বিরুদ্ধে লুটপাট করে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দারিব অভিযোগ তোলে আদালতে মামলা করেন সৈয়দ মোঃ শহিদুল্লাহ।

এই মামলাটি করার পর অন্যপক্ষের সাথে দ্বন্দ্ব বেড়েই চলে। এক পর্যায়ে এক কাজের মেয়ে সাজিয়ে আদালতে ভুয়া মামলা করেন অপর পক্ষ। পরে আদালতের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সমন গায়েব করে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে তড়িগড়ি করে ওয়ারেন্ট তামিল করেন নিজ বাড়ী থেকে দুদক কর্মকর্তা শহিদুল্লাহকে গ্রেফতার করান চান্দগাঁও থানা পুলিশকে দিয়ে।

পরে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা যান শহীদুল্লাহ। আর পুলিশ হেফজতের মৃত্যুর অভিযোগে মামলা হয় চাঁন্দগাও থানা পুলিশ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। মামলা করা হয় চট্টগ্রাম মহানগর দায়র জজ আদালতে। সেই মামলা তদন্ত করছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো। তদন্তকালে পিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন কয়েকজন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী রাইটন দত্ত সুমন বলেন, ঘরে ঢুকে ভাংচুর লুটপাট টাকা পয়সা নিয়ে যাওয়ার কারণে এবং ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে ২০২৩ সালে সাবেক দুদক কর্মকর্তা বাদী হয়ে আজকে জামিন না মঞ্জুর করা জসিমসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। পরে আদালত মামলা গ্রহণ করে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সিআইডিকে তদন্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তদন্ত শেষে আদালতের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন সিআইডি। পরে ঘটনা সত্যতা পাই আদালত। পরে আসামির বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করে আদালত।

আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করলে অন্যান্য আসামিদের জামিন মঞ্জুর করলেও প্রধান আসামি জসিমের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার বাদী বেঁচে না থাকলেও মামলা মামলার গতি চলবে। বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থা অনেক উন্নতি হয়েছে এইটাই তার প্রমাণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউথিয়ায় অস্ত্র ও গুলিসহ হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
পরবর্তী নিবন্ধবান্দরবানে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে পিতার যাবজ্জীবন