পুলিশ সদস্য স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর করা একটি মামলা চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সমপ্রতি স্ত্রীর সাথে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে ওই পুলিশ সদস্য বিচারককে গালাগাল ও কূরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। এ ঘটনায় গতকাল একই আদালতে স্ত্রীর মামলার শুনানিতে ওই পুলিশ সদস্য উপস্থিত হলে তাকে আটকের নির্দেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে আটক করা হয়। পরে আদালতের বেঞ্চ সহকারী সৈয়দ নুর এ খোদা নগরীর কোতোয়ালী থানায় বিচারককে গালাগাল ও কূরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন করেন। তবে আমলযোগ্য অপরাধ না হওয়ায় মামলার পরিবর্তে জিডি হিসেবে তা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রেপ্তার না দেখিয়ে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই পুলিশ সদস্য হলেন সঞ্জয় চৌধুরী ওরফে তন্ময় ওরফে আবির চৌধুরী। তিনি কঙবাজারে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন। নগর পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) হুমায়ুন কবির আজাদীকে বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই যৌতুক চেয়ে না পেয়ে মারধরের অভিযোগে পুলিশ সদস্য সঞ্জয় চৌধুরীর বিরুদ্ধে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে একটি মামলা করেন তার স্ত্রী ইমা বসু। মামলাটি একই আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এরমধ্যে স্ত্রী ইমা বসুর সাথে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট হলে সেখানে বিচারককে গালাগাল এবং কূরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ইমা বসুই। পরে সেটির সত্যতাও পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ইমা বসুর মামলার শুনানিতে হাজির হলে সঞ্জয়কে আটকের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই অনুযায়ী তাকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়। একটি মামলার আবেদনও করা হয়। কিন্তু আমলযোগ্য অপরাধ না হওয়ায় অভিযোগটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এখন সেটি তদন্ত হবে। এরপর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা হবে। আমলযোগ্য অপরাধ না হওয়ায় সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান হুমায়ুন কবির।