আন্দোলন, ভবন ঘেরাও, সড়কে জ্বালাও পোড়াওয়ের পরও অননুমোদিত মোবাইল ফোন বন্ধ করার সিদ্ধান্তে অটল অবস্থানে আছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসির সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবারের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি বলে জানিয়েছেন গ্রে মার্কেটের মোবাইল ব্যবসায়ীরা। তারা চান বিদেশ থেকে পুরনো ফোন আমদানি করতে; আর বিটিআরসি জানিয়ে দিয়েছে এ বিষয়ে তাদের নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। খবর বিডিনিউজের।
দেশের অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতা এই ব্যবসায়ীরা গত রোববার প্রায় ১০ ঘণ্টা আগারগাঁওয়ের সড়কটি আটকে রেখে বিক্ষোভের পর গতকাল তাদের সঙ্গে সভা করার সিদ্ধান্ত দেয় বিটিআরসি। বেলা ১১ টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে শুরু হওয়া ওই বৈঠকে গ্রে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এই সভাকে ঘিরে বেলা ১১টার আগে থেকেই বিটিআরসি ভবনের আশপাশে জড়ো হন মোবাইল ব্যবসায়ীরা। প্রায় তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিটিআরসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে এসে মোবাইল ব্যবসায়ী নেতারা জানান বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি। তাদের মূল এজেন্ডা ছিল ব্যবহৃত ফোনের অনুমোদন আদায়, সে বিষয়টিতে বিটিআরসি মোটেও কর্ণপাত করেনি বলেও অভিযোগ করেন তারা। বৈঠক শেষে ভবনের বাইরে এসে সাংবাদিকদের মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের সহসভাপতি শামিম মোল্লা বলেন, আমাদের দাবি কর্ণপাত করে নাই, আমাদের দাবি কেউ আমলে নেয় নাই। আমাদের কথা তারা বুঝে, বলার আগেই বুঝে, কিন্তু না বোঝার ভান করে। এই ভান করাটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। আজ বুধবার এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক আছে জানিয়ে সে পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শামীম মোল্লা। তিনি বলেন, আপনারা কালকে (বুধবার) পর্যন্ত শান্ত থাকেন, তারা আমাদের চোখের পানির দাম তারা দেয় নাই। আগামীকালের মিটিং পর্যন্ত আপনারা শান্ত থাকেন। মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম বলেন, আজকে আমরা যারা বিটিআরসির ডিজির সাথে বসেছি, আমাদের একমাত্র এজেন্ডা ছিল ইউজ ফোন। আমরা বলেছি, এদেশে ৭০–৭৫ শতাংশ মানুষ ইউজড ফোন কেনে, ব্যবহার করে আবার বিক্রি করে বা এক্সচেঞ্জ করে। আমরা বারবার বলেছি এই ফোন গুলোকে ক্লোন, কপি ও রিফারবিশড বলে কালিমা লেপন করছেন আপনারা। আমরা ক্লোন–কপি বেচি না, আমরা যে মালটা বিক্রি করি সেটা ধনী দেশের মানুষেরা ছেড়ে দেয়, আমরা সেটা দেশে নিয়ে এসে বিক্রি করি। আমরা বলেছি, আপনি বাণিজ্য নীতি যতই সহজ করেন না কেন আমাদের ইউজড ফোনের বাণিজ্য করতে দিতেই হবে। বিটিআরসি বলেছে আপাতত সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন নিয়ে তাদের প্রিপারেশন নাই। আমরা বলেছি যেহেতু তারা এনইআইআর চালু করার জন্য নতুন ফোনের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, পুরাতন ফোনের জন্য যে ইকুইপমেন্ট লাগে সেটার টাকা আমরা সারা দেশের ব্যবসায়ীরা সেই টাকা দিবো। সরকারের পক্ষ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে, কোনো নজরদারি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসায়ীরা ‘চোরাই, নিম্নমানের ও পুরনো ফোন রিফারবিশ করে’ বাজারে নতুন করে বিক্রি করছেন। এগুলো গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা।












