পুনর্মূল্যায়িত হারে গৃহকর আদায় করতে চায় চসিক

মন্ত্রণালয়ে চিঠি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে স্থগিত হওয়া পঞ্চবার্ষিকী কর মূল্যায়নের আলোকে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চেয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। সরকারি সংস্থাগুলো থেকে পুনর্মূল্যায়ন হওয়া হারে গৃহকর আদায় করলে চসিকের বাৎসরিক আয় ১৯১ কোটি টাকার বেশি বাড়বে।
জানা গেছে, গতকাল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীকে দাপ্তরিক পত্র দেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এতে তিনি স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ এর ধারা ৮২ এর আলোকে সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে পুনর্মূল্যায়নকৃত কর আদায়ের অনুমোদন প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পত্রে তিনি লিখেন, ১৯৮৬ সালের ২১নং বিধান অনুযায়ী পাঁচ বছর পর পর কায়িক অনুসন্ধানের মাধ্যমে গৃহকর পুনর্মূল্যায়নের এখতিয়ার সিটি কর্পোরেশনের আছে। সে আলোকে ২০১৬-২০১৭ সালে চসিক পুনর্মূল্যায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করলেও কর আদায়ের প্রাক্কালে বিভিন্ন মহলের বিরোধিতার কারণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর গৃহকর কার্যক্রম পুনর্মূল্যায়ন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়। তাই সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন দৈনিক আজাদীকে বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে স্থগিত হওয়া গৃহকর আদায় করতে পারলে আমাদের আয় বাড়বে। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ কমবে। তাই শুধুমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে স্থগিত হওয়া পঞ্চবার্ষিকী কর মূল্যায়নের আলোকে কর আদায়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখেছি।
চসিকের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা গেছে, পৌরকর নির্ধারণে চসিক ২০১৬ সালের ২০ মার্চ প্রথম দফায় নগরীর ১১টি ওয়ার্ডে ‘এসেসমেন্ট’ শুরু করে এবং একই বছরের ২০ জুন শেষ হয়। দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর অবশিষ্ট ৩০টি ওয়ার্ডে ‘এসেসমেন্ট’ শুরু করে এবং তা শেষ হয়েছে ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি। পঞ্চবার্ষিকী কর পুনর্মূল্যায়ন শেষে তা ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়।
এতে দেখা গেছে, নগরীতে হোল্ডিং রয়েছে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ২৪৮টি। এসব হোল্ডিংয়ের বিপরীতে একই অর্থ বছরে ৮৫১ কোটি ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫৯ টাকা পৌরকর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে চসিক। যা পূর্বের অর্থবছরে ছিল ১০৩ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৭ টাকা।
এদিকে জনসম্মুখে চসিকের এসেসমেন্টর বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে প্রস্তাবিত পৌরকরের বিরুদ্ধে আপত্তি জানান ভবন মালিকরা। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে তারা মাঠে নামেন। এক্ষেত্রে ‘চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে। প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দীন চৌধুরীও এর বিরোধিতা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জনের মৃত্যু শনাক্ত ১৬৬৬
পরবর্তী নিবন্ধমাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর নির্মাণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ