রাশিয়ার ভূখন্ডের গভীরে দূর পাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার জন্য ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র অনুমতি দেওয়ার পরও পারমাণবিক অস্ত্র হামলার ঝুঁকি বাড়েনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পাল্টা হামলার হুমকি দিলেও পারমাণবিক হামলার তেমন আশঙ্কা নেই বলেই দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাঁচ কর্মকর্তা। খবর বিডিনিউজের।
তবে দুই উর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর চাপ বাড়াতে ইউরোপীয় দেশগুলোকে নিশানা করে নাশকতা অভিযান বাড়াতে পারে রাশিয়া। গত সাত মাসে একাধিক গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইউক্রেনের ওপর থেকে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে বিধিনিষেধ শিথিলের যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের ফলে পারমাণবিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন সমপ্রতি ইউক্রেনকে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালানোর যে অনুমতি দিয়েছেন, তারপরও রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গির কোনও পরিবর্তন হয়নি। গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে রাশিয়ার গভীরে হামলা চালাতে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন।
এটি দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের কার্যালয়ের এক কর্মী গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ে বলেছেন, এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ফলেই যে রাশিয়ার পারমাণবিক নীতিতে বদল আসবে তা নয়। রাশিয়া গত সপ্তাহে ইউক্রেইনে নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ওয়াশিংটন ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য এ ছিল এক সতর্কবার্তা।
কিন্তু আগে যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেরকম কোনও প্রতিক্রিয়া রাশিয়া দেখায়নি। রাশিয়া পারমাণবিক উত্তেজনা বাড়াবে না বলেই মনে করেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সংশ্লিষ্ট পাঁচ কর্মকর্তার একজন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় সামরিক শক্তি জাহির করতে পারে রাশিয়া। ইউক্রেনে রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র (ওরেশনিক) হামলা চালানোটা সে চেষ্টা থেকেই করা হয়ে থাকতে পারে।