যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় বিশ্বের দুই ক্ষমতাধর নেতা ডনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকে এক ভিন্ন মাত্রা নিয়ে হাজির হলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। খবর বিডিনিউজের।
হাই প্রোফাইল এই বৈঠকে তিনি সশরীরে ছিলেন না, কিন্তু ব্যক্তিগত এক চিঠিতে তার উপস্থিতি জোরদারভাবেই থাকল। চিঠিটি তিনি লিখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে, সেই চিঠি আবার পৌঁছে দিয়েছেন স্বামী ডনাল্ড ট্রাম্প স্বয়ং। আলাস্কায় প্রাপ্তি–অপ্রাপ্তি, সম্ভাবনা, সুযোগ সবকিছুর সঙ্গে এখন সেই চিঠি নিয়েও আলোচনা তুঙ্গে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। চিঠিটিতে স্লোভেনিয়ায় জন্ম নেওয়া মার্কিন ফার্স্ট লেডি যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ও রাশিয়ার শিশুদের দুর্ভোগের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন বলে শুক্রবার জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের দুই কর্মকর্তা।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজের দুই কর্মকর্তা জানান, ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে অপহৃত শিশুদের প্রসঙ্গ তুলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এই চিঠি দিয়েছেন তিনি। এতে যুদ্ধের কারণে অপহৃত শিশুদের কথা আছে, বলেছেন তারা। এ নিয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলতে তারা রাজি হননি। যুদ্ধের সময় শিশুদের তুলে নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে ইউক্রেন শুরু থেকেই বেশ শোরগোল তুলে আসছে। কিয়েভের অভিযোগ, যুদ্ধ শুরুর পর পরিবার বা অভিভাবকদের সম্মতি ছাড়াই হাজার হাজার ইউক্রেনীয় শিশুকে রাশিয়া ও রুশ–অধিকৃত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মস্কো বলছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই তারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কিছু শিশুকে সরিয়ে নিয়েছিল।
এর মধ্যে অনেককে তাদের অভিভাবকদের হাতে ফিরিয়েও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার আলস্কার অ্যাঙ্করেজে এক মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পুতিনের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকেও ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে সমঝোতা হয়নি বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তার মতে, তাদের বৈঠক খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে, তবে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়নি। পুতিন এ বৈঠককে সংঘাত অবসানের একটি সূচনা বিন্দু হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, তিনিও আন্তরিকভাবে সংঘাতের অবসান চান। তবে সংঘাতের মূল কারণগুলো দূর করতে হবে।