যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কথিত হস্তক্ষেপের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘মূল্য চুকাতে হবে’, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন মন্তব্যের পর ওয়াশিংটনে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মস্কোর হস্তক্ষেপের পেছনে পুতিন আছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার নতুন একটি প্রতিবেদন দীর্ঘদিনের এ অভিযোগের পক্ষে সমর্থন জানানোর পর বাইডেন ওই মন্তব্য করেন। এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভকে ডেকে পাঠিয়েছে তারা। দুই দেশের সম্পর্কের যেন ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, আমাদের জন্য প্রধান বিষয় হচ্ছে, সামপ্রতিক বছরগুলোতে ওয়াশিংটন যাকে কানাগলিতে নিয়ে গেছে রাশিয়া-আমেরিকার সেই কঠিন সম্পর্ককে সংশোধন করা যায় কিনা তার পথ নির্ধারণ করা। আমেরিকানরা যদি বিদ্যমান ঝুঁকি শনাক্ত করতে পারে তাহলে আমরা এর অপরিবর্তনীয় অবনতি রোধে আগ্রহী।
সেই ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে বলা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে। যদিও ট্রাম্প এবং রাশিয়া উভয়ই বার বার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
‘পুতিন যে চেষ্টা করেছিলেন’ তার পরিণতি তাকে ভোগ করতে হবে বলে এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন বাইডেন। বুধবার প্রচারিত সাক্ষাৎকারটিতে কবে নাগাদ ‘ওই পরিণতি’ দেখা যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই আপনারা সেটা দেখতে পাবেন।