পুতিনকে ট্রাম্পের ফোন, যুদ্ধ থামানোর ‘পরামর্শ’

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথাই হয়নি : রাশিয়া

আজাদী ডেস্ক | মঙ্গলবার , ১২ নভেম্বর, ২০২৪ at ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছেন। গত বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডায় নিজের বাসভবন থেকেই পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্প ফোনে আলাপ করেন বলে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে। পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ আর না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বলে ট্রাম্পের এক কর্মকর্তা জানান।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তৎসংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাম্প। যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য এবং সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য তিনি আলোচনায় বসার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন। ইউরোপে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতির কথা পুতিনকে স্মরণ করিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু ওয়াশিংটন পোস্টের সেই রিপোর্টকে ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করলেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ।

এদিকে ট্রাম্পের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরিকল্পনা করেছেনকিইভকে পরিত্যাগ না করার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানাবেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলনস্কির সঙ্গে গত বুধবার কথা বলেছেন। কিয়েভের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ সামরিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন দিচ্ছে তার সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প, দ্রুত এই যুদ্ধ বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছেন; তবে কীভাবে এটি করবেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি।

প্রথম ওয়াশিংটন পোস্টে খবর হওয়া ওই ফোন কলের বিষয়ে প্রশ্নে ট্রাম্পের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক স্টেভেন চন বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও অন্য বিশ্ব নেতাদের মধ্যে ব্যক্তিগত কলের বিষয়ে আমরা মন্তব্য করি না। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে থাকা রাশিয়ার দূতাবাসও এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য জানানো রয়টার্সের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে দ্রুত সমাধানে আগ্রহী ট্রাম্প, নির্বাচনের আগেই তা জানা গিয়েছিল। অনেকেই মনে করছেন, জো বাইডেন প্রশাসনের মতো ট্রাম্প কোটি কোটি ডলার দিয়ে ইউক্রেনকে যুদ্ধে সহায়তা করবেন না। বরং তিনি যুদ্ধ থামাতে বেশি আগ্রহী। তিনি ক্ষমতায় আসার পর গত তিন বছরব্যাপী এই যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে বলেও অনেকে আশা প্রকাশ করছেন।

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সরকার অবশ্য জানিয়েছে, ২০ তারিখের আগে ইউক্রেনে যথাসম্ভব সহায়তা পাঠিয়ে দেবে হোয়াইট হাউস। তার পর পূর্ব ইউরোপের এই সমস্যা নিয়ে ট্রাম্প সরকার কোন পথে এগোবে, তার একটি ইঙ্গিত মিলল পুতিনের সঙ্গে তার যোগাযোগে।

২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন তিনি। তার পরই বোঝা যাবে পূর্ব ইউরোপের সমস্যা নিয়ে ট্রাম্প সরকার কোন পথে এগোবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাশ্মীরে হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত
পরবর্তী নিবন্ধআজ ও কাল কে ডি প্রভাতী ক্লাব ফুটবলের ২টি সেমিফাইনাল