শত বছরের পুকুর ভরাটে পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করতে গিয়ে কারাগারে গেলেন পাঁচজন আসামি। চার বছর আগে প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে রাউজানের নোয়াপাড়া কচুখাইন গ্রামে পুরনো একটি পুকুর ভরাট করার অপরাধে ওই মামলাটি দায়ের করেছিল পরিবেশ অধিদপ্তর।
কারাগারের যাওয়া আসামিরা হলেন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মুহাম্মদ খোরশেদুল ইসলাম (৫০), কচুুখাইন গ্রামের মুহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম (৪৮), আলী আকবর (৬০), মকবুল আহমদ (৫৫), মুহাম্মদ খোরশেদ (৫২)।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কচুখাইন গ্রামের মুহম্মদীয়া দরবার শরীফ সংলগ্ন একটি শত বছরের পুকুর ভরাট করা নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশের একটি সংবাদ দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত হয়। ওই রির্পোট প্রকাশিত হলে প্রশাসন ভরাট কাজ বন্ধের উদ্যোগ নেয়। ভরাট কাজে জড়িতদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। কিন্তু ভরাটকারীরা কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবার শুরু করে ভরাট কাজ। এবার তারা রাজনৈতিক ভাবে কর্ণফুলী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা পাইপ লাইনে বালু এনে পুকুরটি ভরাট কাজ শুরু করে। এই ঘটনার পর প্রতিবাদী এলাকাবাসী এ বিষয়টি অভিযোগ আকারে পরিবেশ অধিদপ্তরে জানান। অভিযোগ পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ তদন্তে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। পরে ওই ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভরাট কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা করেন। গতকাল রোববার দুপুরে পাঁচ আসামি ওই মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে গেলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি স্বীকার করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন।