সরকার গঠনের বিপক্ষে কথা বলছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগের– নওয়াজ (পিএমএল–এন) জ্যেষ্ঠ নেতারা। তারা বলছেন, দেশের টালমাটাল পরিস্থিতিতে মাথায় কাঁটার মুকুট পরার ইচ্ছা নেই তাদের। বরং সর্বদলীয় সরকার গঠনে মনযোগী হওয়ার কথা বলছেন তারা। পাকিস্তানের সমপ্রচারমাধ্যম জিও’র অনলাইন সংস্করণে এক প্রতিবেদন থেকে এতথ্য পাওয়া গেছে। শনিবারের প্রতিবেদনে পিএমএল–এন’র জ্যেষ্ঠ নেতা খাজা সাদ রফিকের একটি মন্তব্য তুলে ধরেছে। খবর বাংলানিউজের।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে সাদ রফিক একটি পোস্ট করেন। যেটিতে তিনি লিখেছেন, পাকিস্তানে ফেডারেল সরকার গঠন করা সংসদের সব দলের যৌথ দায়িত্ব, পিএমএল–এন’র একার নয়। গত ৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত প্রার্থীদের আহ্বান জানিয়ে রফিক লিখেছেন–আপনাদের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে একটি যৌথ কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করা উচিত। নির্বাচনে যেহেতু কোনো রাজনৈতিক দলের স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই তাই পিএমএল–এন’র মাথায় কাঁটার মুকুট সাজানোর কোনো ইচ্ছা নেই। পাকিস্তানের অন্যতম বৃহত্তম শহর শেখুপুরার পিএমএল–এন নেতা জাভেদ লতিফও নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়াদের সরকার গঠনের পক্ষে। তিনি আশা করেন, পিএমএল–এন সিদ্ধান্ত নেবে– যে দলটি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসনে বিজয়ী হয়েছে তাদের সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এটি হলে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা ব্যর্থ হতে পারে। যেদিন পিএমএল–এন এ সিদ্ধান্ত নেবে, আমি প্রকাশ করব ৮ ফেব্রুয়ারি কার জন্য কারচুপি করা হয়েছিল এবং এর পেছনে মাস্টারমাইন্ড কারা ছিল। পিএমএল–এনকে পাঞ্জাবের দিকে নজর দিতে হবে। জিও জানিয়েছে, লাহোরে পিএমএল–এন’র জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি পরামর্শমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে আজম নাজির তারার, আয়াজ সাদিক, আহসান ইকবাল, রানা তানভীর, সুলেমান শেহবাজ ও মালিক আহমেদ খান, শেহবাজ শরীফ, মরিয়ম নওয়াজ, ইসহাক দার, মরিয়ম আওরঙ্গজেব ও সাদ রফিক অংশ নেন। জ্যেষ্ঠ নেতারা সেখানে কেন্দ্রে সরকার গঠনের চেষ্টা না করে পাঞ্জাবের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত বলে প্রস্তাব দেন। পাঞ্জাবে নির্দলদের নিয়ে সহজেই সরকার গঠন করা যায় বলেও তারা উল্লেখ করেন।