কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীর ছনখোলার ঘোনারপাড়া তেইনাকাটা এলাকায় সংরক্ষিত বনভূমির পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজার পরিবেশ আদালত।
পাশাপাশি আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-পরিচালককে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার পরিবেশ আদালতের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহছানুল ইসলাম স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই আদেশ দেন।
কক্সবাজার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে পিএমখালীর পাহাড় কাটা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি বিচারকের নজরে আসে। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই স্বপ্রণোদিত আদেশটি দিয়েছেন বিচারক।
ওই আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিবেদনে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে তার সচিত্র প্রমাণ থাকলেও কে বা কারা বিক্রি করছে সেই বিষয়টি নেই। এটিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত, সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র প্রস্তুত, পাহাড়ের কী পরিমাণ মাটি কাটা হয়েছে, তা নিরূপণ করার নির্দেশনাও দিয়েছেন আদালত। প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরও বলেন, এটির পরবর্তী তারিখ ২৫ আগস্ট। এর মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-পরিচালককে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এর আগে একই আদালতের কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো. আশিফ স্বপ্রণোদিত ভাবে গত ২৮ জুলাই উখিয়ার বন খেকোদের তালিকা করার আদেশ দেন। সেই আদেশ নিয়ে কাজ করছে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ।
