মীরসরাইয়ে পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে নির্মাণাধীন সেতুর পাশে তৈরি করা বিকল্প সড়ক। বৈদ্যুতিক খুঁটি দিয়ে তৈরি একটি অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ।
জানা যায়, মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থেকে বাংলাবাজার বুরবুরিয়া ঘাট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়কের দেওয়ানপুর গ্রামের অংশে বারমাসিয়া ছড়ার উপর নির্মাণাধীন সেতুর পাশে বিকল্প সড়ক তৈরি করা হয়। কিন্তু সড়কটির নিচ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা না থাকা এবং সড়কটি নিচু হওয়ায় পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গিয়েছে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীসহ হাজারো পথচারী।
সূত্র জানায়, কয়েক মাস আগে এলজিইডির অধীনে ২০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবছার কনস্ট্রাকশন। নির্মাণাধীন সেতুর পাশে তৈরি করা হয় বিকল্প সড়ক। ওই সময় নিচু জায়গায় যথাযথ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করে বিকল্প সড়ক নির্মাণে অনেকেই আপত্তি তুলেছিলেন। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন জনগণের আপত্তির তোয়াক্কা না করে নিচু জায়গাতেই দুটি পাইপ বসিয়ে বিকল্প সড়ক করেন। সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলে বিকল্প সড়কটি ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবুল সেন বলেন, নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প সড়কটি দায়সারাভাবে করা হয়েছে। তাই পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শত শত মানুষ। স্থানীয়রা বৈদ্যুতিক খুঁটি বিছিয়ে দিয়ে সাঁকো বানিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করলেও খবরও নেয়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবছার কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার এনামুল হক বলেন, প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিকল্প সড়কটি ভেঙে যায়। পানির প্রবাহ কমলে সড়কটি সংস্কার করবো।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, বিকল্প সড়ক ভেঙে মানুষের দুভোর্গের কথা শুনে তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্যকে পাঠিয়ে জনচলাচলের ব্যবস্থা করেছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে সেতু নির্মাণ কাজের ধীরগতি ও জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীকে পরিদর্শনের জন্য পাঠাবো। দ্রুত সময়ে বিকল্প সড়ক সংস্কারসহ সেতুর কাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হবে।