নগরীতে পৃথক দুটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর একটি পাহাড়তলী থানা এলাকায় এবং অন্যটি ঘটেছে ইপিজেড থানা এলাকায়। পাহাড়তলীতে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে গলায় ফাঁস দিয়ে মো. রাজিব (২৪) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পাহাড়তলীর সরাইপাড়া এলাকায় বাটা গলিতে এ ঘটনা ঘটে। রাজিব ওই এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাক খানের ছেলে।
রাজিবের বোন জামাই মো. হারুন আজাদীকে বলেন, রাজিবের সাথে তার স্ত্রীর দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। গতকালও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। গতকাল সকাল ৬টা বা ৭টার দিকে দরজা বন্ধ করে নিজ কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দেয় রাজিব। অনেক ডাকাডাকি করার পরেও যখন দরজা খুলছে না তখন আমরা ঘরের উপরের দিকে একটা ছিদ্র দিয়ে দেখতে পাই, সে ফ্যানের সাথে ঝুলছে। সাথে সাথে আমরা পুলিশে খবর দেই।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আজাদীকে বলেন, সরাইপাড়া এলাকায় বাটা গলির একটি ভাড়া বাসা থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নগরীর ইপিজেড থানা এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে জাকিয়া চৌধুরী (২০) নামে এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। গত বুধবার রাত ৩টায় ইপিজেড থানা এলাকার নেভি গেট কলোনি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জাকিয়া আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতক (অনার্স) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম এ টি এম জোবায়ের চৌধুরী।
পুলিশ জানায়, ইপিজেডের নেভি গেট এলাকায় এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৩ টায় ওই এলাকার একটি বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছাত্রীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ পৌঁছানোর আগে নিহতের কক্ষ ভেঙে নিহতের বাবা-মা তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।