কঠিন চীবর দান বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব হলেও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও কঠিন চীবর দান উৎসবে সম্পৃক্ত হয়ে উৎসব উপভোগ করেন। এবার যদি পাহাড়ে কঠিন চীবর দান না হয় তাহলেও আমরাও উৎসব দেখা থেকে বঞ্চিত হব বলে মন্তব্য করেছেন কাপ্তাইয়ে অবস্থিত ৪১ বিজিবি কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি গতকাল বুধবার কাপ্তাই উপজেলার হেডম্যানদের সাথে ওয়াগ্গাছড়া জোন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
পাহাড় হোক সম্প্রীতির এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, আমরা সবাই সৌহার্দ্য ও সমপ্রীতি বজায় রেখে পাহাড়ে বসবাস করতে চাই। আমরা ঈদ, দুর্গাপূজা, কঠিন চীবর দান এবং শুভ বড়দিন মিলেমিশে উদযাপন করতে চাই। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের উপ–অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ লতিফুল বারি এবং মেডিকেল অফিসার মেজর এস এম আশিকুজ্জামান।
লে. কর্নেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়াা বলেন, সমপ্রীতির বন্ধনে কোন কুচক্রী মহল যদি সংঘাত ছড়াতে চায় সে ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার এবং সিভিল প্রশাসন সম্মিলিতভাবে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আমরা একযোগে কাজ করব। পাহাড়ে কেউ যদি অবৈধ কোন কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে এবং কোনো ব্যক্তি বা মহল বিশেষ চাঁদা দাবি করে সে ক্ষেত্রে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিজিবি সার্বক্ষণিক পাহাড়ের জনগণের পাশে থাকবে বলেও তিনি জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন ১০০ নং ওয়াগ্গা মৌজার হেডম্যান অরুণ তালুকদার, ৩২১ নং রাইখালী মৌজার হেডম্যান উ সুয়ে সুয়ে চৌধুরী মিশুক, ৩২২ নং নারানগিরি মৌজার হেডম্যান উবাথোয়াই চৌধুরী এবং এবং ৩২৩ নং চিৎমরম মৌজার হেডম্যান ক্যওসিং মারমা।