নগরীর পাহাড়তলীর তিন সহোদর ব্যবসায়ীর বিদেশে অর্থ পাচার বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তিন সহোদর হলেন, জয়নাল আবেদীন, জামিল আবেদীন ও আলাউদ্দিন। নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদ সিডিএ এভিনিউর এম কে শীপ বিল্ডার্স এন্ড স্টীল লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তারা।
গতকাল চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান খেলাপি ঋণ আদায়ের একটি মামলায় এ আদেশ দেন। ১৮১ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ৩১৬ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষে সিটি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা অর্থঋণ মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এম কে শীপ বিল্ডার্স লিমিটেড কোম্পানীর নামে পরিচালক হিসেবে তিন সহোদর ব্যবসায়ী সিটি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা থেকে ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে উক্ত ঋণ গ্রহণ করেন। ১৫২ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ৬৫২ টাকা বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে তারা মাত্র ৬ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার ৮১ টাকা পরিশোধ করেছেন। অবশিষ্ট বিপুল পরিমাণ টাকা পরিশোধ না করে তিন সহোদর বিদেশে পলাতক রয়েছে। ঋণের বিপরীতে বন্ধকী সম্পত্তির মূল্য মাত্র ১৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। তিনি বলেন, তিন সহোদরের পক্ষে স্বাক্ষর জাল করে মামলায় জবাব দেওয়া হলে আদালত তাদের জবাব নাকচ করেন। আদালতে উপস্থিত হয়ে জবাবে স্বাক্ষর করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলেও তারা আদালতে উপস্থিত হননি।
তাই বিপুল পরিমান ব্যাংক ঋণের অর্থ পাচার হয়েছে কি না তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমান ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করায় তিন সহোদরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংকের অন্তত ১০টি মামলা চলমান রয়েছে বলেও জানান বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।