পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫

পাস করেছে ৮২.৮০ শতাংশ এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ চট্রগ্রাম শিক্ষা বোর্ড

হাবীবুর রহমান | সোমবার , ১৩ মে, ২০২৪ at ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবারের পরীক্ষায় ৮২.৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে চট্টগ্রামে। আর জিপিএ৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন। গতবছর পাসের হার ছিল ৭৮.২৯ শতাংশ। আর জিপিএ৫ পায় ১১ হাজার ৪৫০ জন। গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার বাড়লেও জিপিএ৫ প্রাপ্তির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ৬২৭ জন শিক্ষার্থী কম জিপিএ৫ পেয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে ৪.৫১ শতাংশ। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান। তিনি জানান, এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২১৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১২৫ টি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৭ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৬৩ হাজার ৫৮১ জন এবং ছাত্রী ৮১ হাজার ৪৪৩ জন। পাসের হার ৮২.৮০ শতাংশ।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান আরো জানান, পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। গণিত ও উচ্চতর গণিত পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ লিখতে পারেনি। এ জন্য জিপিএ৫ কম এসেছে এবার। গণিত ও উচ্চতর গণিত পরীক্ষা কেন আশানুরূপ হয়নি এ বিষয়ে তিনি বলেন, হয়তো চর্চায় ঘাটতি ছিল। উত্তরণ কিভাবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণিতের চর্চা বাড়াতে হবে। সে জন্য শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে।

শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করতে পারেনি ২৪ হাজার ৯৩৭ জন। অকৃতকার্যদের মাঝে এক বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৭৭০ জন। যা মোট পরীক্ষার্থীর ১২.২৫ শতাংশ।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জিপিএ৫ পাওয়া মোট ১০ হাজার ৮২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজার ৭৫০ জন ছাত্রী এবং ৫ হাজার ৭৩ জন ছাত্র। বিজ্ঞান বিভাগে এবার পাসের হার ৯৪.৫২ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ হাজার ৫৮৯ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৮৪.১১ শতাংশ, মানবিক বিভাগে পাস করেছে ৭৩.২৩ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯৭ জন আর মানবিকে ১৩৭ জন জিপিএ৫ পেয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অংশগ্রহণ করা ছাত্র পরীক্ষার্থীর পাশের হার ৮২. ২৯ শতাংশ আর ছাত্রী পাশের হার ৮৩ .২১। চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৮৭. ০৬ শতাংশ আর মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলার পাশের হার ৮৩.৬৮ শতাংশ। মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলার পাসের হার ৮৪.৯২ শতাংশ। কঙাবজার জেলার পাশের ৮৩.৬৪ শতাংশ। রাঙামাটি জেলার পাসের হার ৭২.৭২ শতাংশ। খাগড়াছড়ি জেলার পাশের হার ৭২.২৫ শতাংশ। বান্দরবান জেলার পাশের হার ৭২.৭০ শতাংশ। কেউ পাস করেনি এমন বিদ্যালয় নেই উল্লেখ করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম মুজিবুর রহমান বলেন, শতভাগ পাস করেছে এমন বিদ্যালয় রয়েছে ৪৬ টি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআরো এগিয়েছে মফস্বল
পরবর্তী নিবন্ধপাস করলেও দেখে যেতে পারেনি আরমান