দেশের ফুটবলে এখন আলোচনায় প্রবাসী ফুটবলাররা। হামজা চৌধুরীর পর সামিত সোম এবং কিউবা মিচেলকে নিয়ে চলছে আলোচনা। ইতোমধ্যেই দেশের হয়ে খেলতে সম্মতি দিয়েছেন কিউবা। সামিত সোমের বিষয়ে এক ধাপ এগিয়েছে বাফুফে। ইতোমধ্যেই তার জন্মনিবন্ধন করা হয়েছে। এখন অপেক্ষা তার পাসপোর্টের। সামিতের সময়–সুযোগ অনুযায়ী তার পাসপোর্টের জন্য কানাডা হাইকমিশনকে অবহিত করবে বাফুফে। এসব তথ্য জানিয়েছেন বাফুফের সহ সভাপতি ফাহাদ করিম। বলেন, ‘আমরা আজ সামিতের জন্ম নিবন্ধন সনদ পেয়েছি। তাকে ইতোমধ্যেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আমাদের জানাবেন কোন দিন তিনি কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে যেতে পারবেন। আমরা সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ হাই কমিশনকে অবহিত করব।’ কানাডায় বাংলাদেশ হাই কমিশন যে শহরে অবস্থিত সেখান থেকে দূরে থাকেন সামিত। সেখানে যেতে হলে কোচ ও ক্লাব থেকে ছুটি প্রয়োজন। সেটা তিনি ব্যবস্থা করে বাফুফেকে জানাবেন। তার জন্ম নিবন্ধনের পাশাপাশি বাবা–মায়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নিতে হবে বাংলাদেশ হাই কমিশনে পাসপোর্ট আবেদনের সময়। এদিকে ইংলিশ ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব–২১ দলে খেলা কিউবা মিচেল বাংলাদেশে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বেশ কিছুদিন থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান। গতকাল আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের হয়ে খেলার সম্মতি দিয়েছেন ১৯ বছর বয়সি এই ফুটবলার। বয়স কম হওয়ায় তার কাছ থেকে লম্বা সময় সাপোর্ট পাওয়া যাবে বলে মনে করেন ইমরুল হাসান। গত শনিবার কিউবাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রস্তাব দিয়ে মেইল করা হয়। গতকাল বিকেল নাগাদ সম্মতি দিয়ে ফিরতি মেইল করেছেন কিউবার এজেন্ট। আগামী জুনেই কিউবা বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামতে পারবেন বলে আশাবাদী ইমরুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘কিউবা আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের হয়ে খেলার সম্মতি প্রদান করেছেন। এখন তার জন্য পরবর্তী পক্রিয়া গুলো শুরু করতে হবে। তার পাসপোর্ট এবং আনুসাঙ্গিক বিষয়গুলোর কাজ শুরু করতে হবে। আগামী জুনের আগেই কিউবার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার জন্য সব কিছু করা সম্ভব।’
কিউবার বাবা জ্যামাইকান এবং মা বাংলাদেশি। তিনি এখনো ইংল্যান্ডের হয়ে কোনো বয়সভিত্তিক দলে খেলেননি। তাই বাংলাদেশের হয়ে তাকে খেলাতে খুব বেগ পেতে হবে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও এফএ’র ছাড়পত্র হলেই হবে। যা দ্রুত সময়ের মধ্যেই হয়ে যাবে বলে আশাবাদী সকলে। কিউবা নম্বর টেন পজিশনে খেলেন। বাংলাদেশের যে গোলখরা রয়েছে সেটার সমাধানে কিউবা ভালো ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে মনে করেন সকলে।