ভারতে পাচার হওয়া এক কিশোরী পালিয়ে আসার পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের নারী পাচার চক্রের মূল হোতা মো. তারেককে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার বায়েজিদ থানার চন্দ্রনগর এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তারেক চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের জাইল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আহমদ ছাফার ছেলে। বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, ভারতে বেশি বেতনের চাকুরির প্রলোভনে ফেলে অসচ্ছল কিশোরীদের বিশেষত পোশাক শ্রমিকদের ভারতে পাচার করছিলো তারা। অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে নিয়ে কিশোরীদের পাচারে সংঘবদ্ধ চক্রের ভারতীয় সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন তারেকের স্ত্রী।
তার স্ত্রীর বান্ধবী চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরির আড়ালে গার্মেন্টসের অন্য মেয়ে কর্মীদের সাথে সখ্য তৈরি করে । পরবর্তীতে তাদের অধিক বেতনে ভারতের পার্লারে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কৌশলে তারেক ও তার স্ত্রীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরে তারাসহ অন্যান্য আসামীদের পরস্পর যোগসাজশে যশোরের অজ্ঞাতনামা সীমান্ত ব্যবহার করে অবৈধ পথে ভারতে পাচার করে দেয়।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি সনজয় কুমার সিংহা জানান, ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী এক কিশোরী পুলিশকে অবহিত করলে চক্রটির খোঁজে মাঠে নেমে পড়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ। অবশেষে রবিবার সাফল হয়েছি। এ ব্যাপারে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আটক যুবককে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।