রাজনৈতিক অস্থিরতা ও চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ভেঙে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট, এর মধ্যে দিয়ে দেশটিতে একটি সাধারণ নির্বাচনের পট প্রস্তুত হল। জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে এখন দেশটিতে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হবে। তবে দুর্নীতির মামলায় সদ্য দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। গতবছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানো পিটিআই নেতা ইমরানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কয়েকটি মামলা ও গ্রেপ্তার ঘিরে কিছুদিন আগে পাকিস্তানে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। খবর বিডিনিউজের।
সবশেষ কয়েকদিন আগে তোষাখানা দুর্নীতির মামলায় তিন বছর দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে তাকে। সাজা ঘোষণার পর পাকিস্তানের রাজনীতিতে তাকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত কোনো ব্যক্তি দেশটির নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। এর মানে হচ্ছে, ইমরান খান ২০২৮ সাল পর্যন্ত এমপি হিসাবে থাকতে পারবেন না এবং নির্বাচনে লড়া কিংবা সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এখন পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর নির্বাচন আয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনের চ্যালেঞ্জগুলো এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে এনডিটিভি। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টে ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারই জাতীয় নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করবে। সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে পাকিস্তানের নতুন অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এছাড়া ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বন্দোবস্ত করতে বলেছেন। যদিও এই নির্বাচন আগামী বছর পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিদায়ী সরকার।
শাহবাজ শরিফ জানান, তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার তিনি পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন, তাদের বৈঠকে উভয়পক্ষ থেকে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নেওয়া হবে। এ বছর নভেম্বরে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশে নতুন আদমশুমারির কাজ শুরু হওয়ায় ভোট কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে।