অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, সারাদেশের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামকেও বৈষম্যমুক্ত পরিবেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এর জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামকে দল–নিরপেক্ষ ও এলাকার উন্নয়নে নিবেদিত এমন সক্ষম ব্যক্তিদের তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। গতকাল শনিবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসন, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক ও ছাত্র–জনতার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অতীতে যা ঘটেছে তা পরিহার করে মানুষের জীবন–জীবিকার উন্নয়ন, অনিয়ম–দুর্নীতি এবং অস্বচ্ছতা পরিহার করে সবার মতামতের ভিত্তিতে পার্বত্য অঞ্চলকে গড়ে তোলা হবে। আমরা গুড গভর্ন্যান্স গড়ে তুলতে চাই। পার্বত্য তিন জেলায় লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সকল কাজ আমরা মিলেমিশে করব। আমরা সবাই এক সঙ্গে আছি, এক সঙ্গে থাকব। আমরা এলাকার শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যথাযথ ভূমিকা রাখতে চাই। সকল ধর্মের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে ভাই–ভাই হয়ে আমরা দেশের উন্নয়নে কাজ করব। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুইজন ছাত্র প্রতিনিধিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যেক জেলা পরিষদে নিযুক্ত করা হবে। দেশে সামপ্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দলমত নির্বিশেষে সকলের অবস্থান নেয়ার এ উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুনীল কান্তি দে, শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান ও বাঞ্চিতা চাকমা, শিক্ষাবিদ অঞ্জুলিকা খীসা প্রমুখ।
