পার্থে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করল অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেডের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি এবং মিচেল স্টার্কের বোলিং তোপে মাত্র দুই দিনেই নাটকীয়ভাবে শেষ হলো ম্যাচটি। ১৯২১ সালের পর এই প্রথম কোনো অ্যাশেজ টেস্ট দুই দিনে শেষ হওয়ার সাক্ষী হলো ক্রিকেট বিশ্ব। ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটি জিততে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২০৫ রান। ট্রাভিস হেডকে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে তুলে আনার সিদ্ধান্তটি ছিল অজিদের জন্য ‘মাস্টারস্ট্রোক’। হেড মাত্র ৬৯ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ একাই গুঁড়িয়ে দেন। এটি অ্যাশেজের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। তার ১২৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে মাত্র ২৮.২ ওভারেই (এক সেশনেই) জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। অথচ লাঞ্চের পরপরই ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৬৫ রান। কিন্তু এরপরই শুরু হয় মড়ক। মিচেল স্টার্কের আগুনের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ১১ ওভারে ৩৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
অলি পোপ, হ্যারি ব্রুক এবং জো রুট্তএই তিন তারকা মাত্র ৬ বলের ব্যবধানে কোনো রান যোগ না করেই সাজঘরে ফেরেন। গাস অ্যাটকিনসন ও ব্রাইডন কার্সের জুটিতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও শেষ পর্যন্ত ১৬৪ রানেই অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দেন মিচেল স্টার্ক। ২০১১ সালের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংল্যান্ডের রেকর্ড অত্যন্ত শোচনীয়। গত ১৬টি টেস্টের মধ্যে ১৪টিতেই হেরেছে তারা, ড্র করেছে মাত্র দুটিতে। পার্থ টেস্টের এই হারের পর ইংল্যান্ডের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী ৪ ডিসেম্বর ব্রিসবেনে শুরু হবে দিবা–রাত্রির টেস্ট।












