নগরীর উত্তর কাট্টলী ডিসি পার্কের উত্তর পাশের বেড়িবাঁধ থেকে সমুদ্র উপকূল পর্যন্ত ন্যাচারাল পার্ক গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এ কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছে বন বিভাগ। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে এলাকায় ন্যাচারাল পার্ক গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে সেটি দীর্ঘদিন অবৈধ দখলদারদের দখলে ছিল। বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে তারা সেখানকার গাছ কেটে নিয়মিত বিক্রি করত। মাটি বিক্রি, এমনকি সেখানে মাছ চাষ করে আসছিল। দখলদারদের বিষে মরে যাওয়া এমন কয়েকটি গাছ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গাছ কাটা হয়নি। বেড়িবাঁধ থেকে সমুদ্র উপকূল পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ছোট একটি রাস্তা করা হচ্ছে। সেখানের কিছু কেওড়া গাছ চাপা দেওয়া হয়েছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, পার্ক করার জন্য সোমবার বেশ কিছু গাছ কেটেছে জেলা প্রশাসন।
উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, বেড়িবাঁধ থেকে সমুদ্র পর্যন্ত রাস্তা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় দুই একর জায়গাজুড়ে থাকা বন কাটা হয়েছে। আমাদের রেঞ্জ কর্মকর্তার কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসকের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। গাছ কাটতে হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে বলেছি। এটি একটি সংরক্ষিত বন জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯০ বা ১৯৯১ সালের দিকে এই বন গড়ে ওঠে।
বন বিভাগের আপত্তি সত্য নয় উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে বিশাল আয়তনের জায়গাটি সম্প্রতি উদ্ধার করেছি। উদ্ধার করা সেই জায়গায় পাখিদের অভয়ারণ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। নতুন করে ১০ হাজার গাছ সেখানে লাগানো হবে। দেশীয় প্রজাতির নানা গাছ থাকবে। কালারফুল গাছও থাকবে। ফলের গাছ, এমনকি নানা প্রজাতির পাখির পছন্দ হয় এমন গাছ লাগানো হবে। সব মিলে ন্যাচারাল পার্কে রূপ নেবে ডিসি পার্কের উত্তর পাশের জায়গাটি।
তিনি বলেন, জায়গাটি যখন অবৈধ দখলদারদের দখলে ছিল তখন বন বিভাগ কোথায় ছিল? জায়গাটি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত জেলা প্রশাসনের জায়গা। বন আইনের ৪ ও ৬ ধারার কথা বলা হচ্ছে। ২০ ধারার কথাও বলছে। অথচ সেটি এখনো গ্যাজেটভুক্ত হয়নি। গ্যাজেটভুক্ত হওয়ার আগে তো সংরক্ষিত বলা যায় না। যদি গাছ কাটতে হয় অবশ্যই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।