সরকারি অর্থে নির্মিত নগরের জাতিসংঘ পার্কে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত চায় পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির চাওয়া কেবল পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার বাসিন্দারাই পার্কটি ব্যবহার করুক। বাইরের কেউ যেন ব্যবহার করতে না পারে। এ বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষে। তবে সাধারণ মানুষ এবং নগর পরিকল্পনাবিদরা এর বিরোধিতা করেছেন। তারা বলছেন, ‘পার্কটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকুক। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নির্মিত পার্ক সাধারণ মানুষের ব্যবহারের অধিকার আছে। এতে বাধা দেয়া ঠিক হবে না।’ তবে আবাসিক এলাকা বিবেচনা করে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
জানা গেছে, নগরের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় অবস্থিত জাতিসংঘ পার্কটি ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় নতুন করে নির্মাণ করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলেও পার্কটি এখনো উন্মুক্ত করা হয়নি। উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে পার্কটি। উদ্বোধনের অনুমতি চেয়ে এক মাস আগে চট্টগ্রাম গণপূর্ত অধিদপ্তর মন্ত্রণালয়ে চিঠিও লিখে। মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেলে উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ওই হিসেবে যে কোনো মুহূর্তে পার্কটি উদ্বোধন করা হতে পারে। এদিকে উদ্বোধন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পত্র দিয়ে পার্কটির ব্যবহার সংরক্ষিত রাখার আবেদন করে। একইসঙ্গে পার্কটি ঘিরে বাণিজ্যিকীকরণেরও আপত্তি জানায়। পার্কে একটি দোকান নির্মাণ করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর; যেটি বরাদ্দ দিলে চালু হবে। এ দোকান নিয়েই আপত্তি পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির। অবশ্য নগরপরিকল্পনাবিদরাও দোকান বরাদ্দের বিপক্ষে।
পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাঈদ সেলিম আজাদীকে বলেন, পার্কের কাজ শেষ হয়েছে। আমরা বলেছি পার্কটি খুলে দেয়া হোক। পার্ক খোলা নিয়ে আমরা কোনো বাধা দিচ্ছি না। সম্ভবত লোকবল নিয়োগ না দেয়ায় এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না পাওয়ায় এখনো খুলে দিচ্ছে না।
সমিতি থেকে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, উনারা একটি দোকান রেখেছেন। এটার বিরোধিতা করছি। একইসঙ্গে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকুক তা চেয়েছি। আবাসিক এলাকার যে মাস্টার প্লান সেখানে লে–আউটে পার্ক ছিল। এ পার্ক দেখেই তো এখানে প্লট নিয়েছেন সবাই। কাজেই পার্কটি শুধু আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা ব্যবহার করুক তার আবেদন করেছি। যেহেতু এটা আবাসিক এলাকা, বাইরে লোকজন আসলে নিরাপত্তা বিঘ্নের সম্ভাবনা আছে এবং সেটা বিবেচনা করেই প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকুক তা চেয়েছি।
তিনি বলেন, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে একটি পার্ক আছে। সেটা কেবল সোসাইটির বাসিন্দারাই ব্যবহার করেন। এখন মন্ত্রণালয় কি সিদ্ধান্ত দেয় দেখি। এরপর বাসিন্দারা যা বলে সে আলোকে আমরা ব্যবস্থা নেব। কিন্তু পার্কে যদি দোকান দেয়া হয় এবং কোনো বাণিজ্যিকীকরণ করা হয় সেক্ষেত্রে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
সবার জন্য উন্মুক্ত থাকুক : বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (বাস্থই) চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান আশিক ইমরান আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম শহরে এমনিতেই পার্ক কম। এটা দুঃখজনক কিন্তু বাস্তবতা। এমন প্রেক্ষাপটে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় যারা থাকেন শুধুমাত্র তাদের জন্য না, জাতিসংঘ পার্ক সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা উচিত। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং সময় নির্ধারণ করে দেয়া যেতে পারে।
তিনি বলেন, শহরের একটা পার্ক ব্যবহার করার অধিকার সবার আছে। তবে যেহেতু আবাসিক এলাকায়, আবাসিক এলাকার যে পরিবেশ সেটা যেন বিঘ্নিত না হয় সেদিকে নজর দিয়ে জাতিসংঘ পার্ক সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, আবাসিক এলাকার হলেও রাস্তার এক পাশে পড়েছে পার্কটি এবং অনেকগুলো এঙেস আছে এখানে। তাই বাইরের লোকজন ব্যবহার করলে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না। একসময় পার্কটিতে বাইরের মানুষও প্রবেশ করতেন। এখনও বৈষম্য থাকা উচিত না।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ পার্কে একটি দোকানও রেখেছে। প্রথম থেকে আমরা দোকানের বিরোধিতা করে আসছি। দোকান নির্মাণ করে বিপ্লব উদ্যান নষ্ট করেছে। কাজেই জাতিসংঘ পার্কে দোকান থাকুক তা আমরা চাই না। দোকান দিলে সেটা বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এ পার্কে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা যেন না থাকে।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চট্টগ্রাম এর সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম শহরে অনেকগুলো আবাসিক এলাকা জনগণকে তাদের শত্রু মনে করে। সিটি কর্পোরেশনের টাকা দিয়ে আবাসিক এলাকার অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলো মেরামত করা হয়। অথচ পাশ্ববর্তী সড়কে যানজট লাগলে সেই আবাসিক এলাকা দিয়ে ঢুকতে দেয়া হয় না, রাস্তাগুলো বন্ধ করে রাখে। এমন করলে আবাসিক এলাকার রাস্তাগুলো তাদেরই মেরামত করা উচিত। একইভাবে জনগণের ট্যাঙের টাকায় জাতিসংঘ পার্ক নতুন করে রি–মডেলিং করা হয়েছে। এখানে জনগণের ট্যাঙের টাকা যেহেতু আছে জনগণকে ব্যবহার করতে দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। জনগণকে ব্যবহার করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত হবে গণবিরোধী।
তিনি বলেন, যেহেতু আবাসিক এলাকার ভেতরে পার্ক তাই আবাসিকের লোকজন বেশি সুযোগ পাবে। দূরের লোকজন তো খুব বেশি সেখানে যাবে না। কিন্তু কেউ যদি যায় প্রবেশ করতে দিতে হবে। পার্কটির নিয়ন্ত্রণ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকুক অথবা সিটি কর্পোরেশনের হাতে ন্যস্ত করতে হবে। আবাসিক সমিতির হাতে ন্যস্ত করা যাবে না।
পারভেজ নামে মুরাদপুর এলাকার এক বাসিন্দা আজাদীকে বলেন, পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা নই; কিন্তু পার্কিটিতে আমরা একসময় ঘুরতে আসতাম। মাঝখান তো পার্কই ছিল না, পরিত্যক্ত জায়গায় পরিণত হয়েছে। এখন নতুন করে নির্মাণ করায় ভাল লাগছে। কিন্তু কেবল আবাসিক এলাকার লোকজনের জন্য পার্কের সুযোগ সীমাবদ্ধ রাখা হবে অন্যায়।
কী বলছে গণপূর্ত অধিদপ্তর : গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের (সার্কেল–১) নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান খান আজাদীকে বলেন, দুই মাস আগে পার্কের কাজ শেষ হয়েছে। খুব নান্দনিক একটা পার্ক হয়েছে। প্রচুর মানুষ হাঁটতে পারবে এখানে। এখন কেবল উদ্বোধনের অপেক্ষা। উদ্বোধন করার জন্য প্রায় এক মাস আগে মন্ত্রণালয়ে লিখেছি, গত সপ্তাহে মন্ত্রলালয় চিঠি পেয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় থেকে উদ্বোধনের তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। আশা করছি এ মাসেই উদ্বোধন হবে।
পার্কটি শুধু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় বসবাসরতদের ব্যবহারের দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন, উনারা একটি চিঠি দিয়েছেন। বিষয়টি আসলে জটিল। উনারা নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির কথা বলছেন। কিন্তু সে পার্কটি অনেক ছোট এবং আবাসিক এলাকার নিজস্ব অর্থে নির্মিত। কিন্তু জাতিসংঘ পার্ক তো আবাসিক এলাকার অর্থে নির্মাণ করা হয়নি। এখন মন্ত্রণালয় কি বলে দেখি।
নতুন রূপে যেমন হলো : নতুন করে নির্মিত পার্কে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সীমানা প্রাচীর ও প্রবেশপথ। হাঁটার জন্য ওয়াকওয়েসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়। নতুন করে নির্মিত পার্কে রয়েছে– বসার সিট, শিশুদের জন্য খেলাধুলার সরঞ্জাম এবং শরীর চর্চার জন্য হরিজন্টাল বার ও মেটাল পারগোলা। আছে টয়লেট ব্লক, ড্রেন, ডাস্টবিন, কম্পাউন্ড লাইট, স্ট্রিট লাইট, পাম্প মোটর, বজ্র নিরোধক। পার্কে লাঘানো হয় গাছ ও ঘাস।
জানা গেছে, জাতিসংঘ পার্কটি দুই দশমিক ২৭ একর জায়গার উপর অবস্থিত। ১৯৫৪ সালে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকাটি বরাদ্দ দেয় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ওই সময়ে লে–আউটে পার্কটি ছিল। এরপর ২০০২ সালে চসিক পার্কটির নামকরণ করে জাতিসংঘ পার্ক। শিশু কিশোরসহ বিনোদন প্রেমী মানুষের কাছে এ পার্কটি সে সময় দর্শনীয় স্থান হিসাবে মন জয় করে নেয়। কিন্তু দিনে দিনে পার্কটির প্রতি অবহেলা আর অযত্নের ছাপ পড়তে থাকে। এতে পার্কটি জৌলুস হারায়। প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পৌঁছে যায়। ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে পার্কে থাকা একটি পুকুরও।
এরপর ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘ পার্কের একটি অংশে সুইমিং পুল নির্মাণের ভিত্তির প্রস্তর করেন তৎকালীন মেয়র এম মনজুর আলম। ২০১৫ সালের জুনে তিন কোটি ৯৪ লাখ ব্যয়ে দুইটি সুইমিং পুল ও জিমনেশিয়াম নির্মাণ কাজ শেষ হয়। যা নতুন করে পার্কটি সাজানোর জন্য ভেঙে ফেলা হয়। এর আগে সুইমিং পুল নির্মাণের সময় চসিকের পক্ষে বলা হয়েছিল, পার্কটির উন্মুক্ত অংশটিও সাজানো হবে। গড়ে তোলা হবে নান্দনিক বিনোদন পার্ক। কিন্তু তা করা হয় নি। ফলে ২০১২ চসিকের সুইমিং পুল নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ থেকেই কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল পার্কটি।
এরপর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ পার্ককে ঘিরে বাণিজ্যিকীকরণের উদ্যোগ নেয় চসিক। যার অংশ হিসেবে ওই সময় পার্কটির একটি অংশে ‘কমিউনিটি সেন্টার ও গেস্ট হাউস’ নির্মাণে একটি ঠিকদারি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ বছরের জন্য ইজারা দেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করে। এ বিষয়ে ২০১৬ সালের ১৬ মে দৈনিক আজাদীতে ‘জাতিসংঘ পার্কে কমিউনিটি সেন্টার, গেস্ট হাউস’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে সবাই। শুরু হয় আন্দোলন। পার্কটির মালিকানা দাবি করে গণপূর্ত অধিদপ্তর কাজ বন্ধে নোটিশ দেয় চসিককে। উচ্চ আদালতে রিট করে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি। এতে আটকে যায় চসিকের উদ্যোগ।
পরবর্তীতে পার্কটির উন্নয়নে ২০১৭ সালে প্রকল্প নেয় গণপূর্ত অধিদপ্তর। এতেও আপত্তি দেয় চসিক। এরপর ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর পার্ককে ঘিরে চসিকের গৃহীত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পারিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্যকে চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারেনি চসিক।
এর মধ্যে ২০১৭ সালে পার্ক উন্নয়নে প্রকল্প নেয় গণপূর্ত অধিদপ্তর। ওই প্রকল্পের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর চসিকের তৎকালীন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে একটি পত্র দেন। এর কয়েকদিন পর ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায়ও চসিক প্রতিনিধি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটির বিরুদ্ধে আপত্তি জানান। এতে স্থগিত করা হয় গণপূর্তের প্রকল্পটি।
এরপর ২০১৯ সালের অক্টোবরে চসিকের তৎকালীন আ জ ম নাছির উদ্দীন ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তৎকালীন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন পারষ্পরিক আলাপে একমত হন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চসিকে হস্তান্তর করবে। পরের বছর প্রশাসকের দায়িত্ব পালনকালে খোরশেদ আলম সুজন গণপূর্ত অধিদপ্তরকে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনাপত্তি পত্র দেয়। পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির করা রিটটিও প্রত্যাহার করা হয়। ফলে গতি পায় গণপূর্তের প্রকল্প। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভায় গণপূর্তের প্রকল্পটি নিয়ে একাধিক পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়। এরপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি সংশোধন করে ২০২২ সালের ১৮ মে পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে একই বছরের ৪ জুলাই পরিকল্পনা কমিশন চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। তখন প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ১১ কোটি ৭০ লাখ ১২ হাজার টাকা। পরবর্তীতে তা বেড়ে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।