লক্ষ্মীপুরের এমপি শহিদ ইসলাম পাপুল অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে সাত মাসের বেশি সময় কুয়েতের কারাগারে থাকলেও এ বিদয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানে না বাংলাদেশ। কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে যে মামলা চলছে, তার রায় জানা যাবে ২৮ জানুয়ারি। সেখানে তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, সে বিদয়ে দেশের সবাই জানেন। কুয়েতে তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর এ নিয়ে সংসদে কথাও হয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি, এই যুক্তিতে পাপুলের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ এখনও নেয়নি জাতীয় সংসদ। এ বিদয়ে জানতে চাইলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কোন সদস্য আটক হলে আটক হলে, দণ্ড হলে, জামিন হলে বা অন্য কোনভাবে মুক্তি পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্পিকারকে জানাবেন। স্পিকার বিদয়টি সংসদে জানাবেন। সংসদ অধিবেশনে না থাকলে চিঠি দিয়ে সংসদ সদস্যদের জানাবেন। এটা কার্যপ্রণালি বিধিতে স্পষ্ট বলা আছে। কিন্তু কোনো কর্তৃপক্ষ আমাকে কিছুই জানায়নি। জানালে নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খবর বিডিনিউজের।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, অফিসিয়ালি কিছু জানি না। আমরা পত্রিকা মারফত জানি। এর বেশি কিছু জানি না। জনশক্তি রপ্তানিকারক পাপুলকে গত ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সে দেশের পুলিশ। মানব ও অর্থপাচার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোদণের অভিযোগ আনা হয় বাংলাদেশের এই আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর কুয়েতের অপরাধ আদালতের কাউন্সেলর আব্দুল্লাহ আল-ওসমানের আদালতে পাপুলের বিচার শুরু হয়। এরপর তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেদে ২৮ জানুয়ারি রায়ের জন্য তারিদ ঠিক করেন বিচারক। পাপুল গত জুনে কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়ার মাসদানেক পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, এ বিদয়ে তথ্য চেয়ে কুয়েত সরকার এবং ঢাকায় কুয়েত দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তদন পর্যন্ত কোনো তথ্য বাংলাদেশকে দেওয়া হয়নি।
গত অক্টোবর মাসে কুয়েত সফর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। ওই সফর শেদে ঢাকায় ফিরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সফরকালে কুয়েতি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পাপুলের বিদয়ে তার কোনো আলোচনা হয়নি। বাংলাদেশ তরফেও কোনো কথা তোলা হয়নি।
এর কারণ ব্যাদ্যা করে মন্ত্রী ওই সময় বলেন, এটা একটা ক্রিমিনাল কেস। ব্যক্তিবিশেদের বিচার হচ্ছে। উনি ওদানে কূটনৈতিক ভিসায় যাননি। উনি বা উনার পরিবার কেউ মিনিস্ট্রি থেকে পাসপোর্টও সংগ্রহ করেননি। স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী হিসাবে উনাকে গ্রেপ্তার করেছে, উনাকে শাস্তি দিবে। এ নিয়ে তারা আমাদের সাথে কোনো আলাপও করেনি, আমরাও তুলিনি।