পানগাঁওগামী জাহাজের জন্য নিউমুরিং টার্মিনালে আরেকটি জেটি বরাদ্দ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামপানগাঁওচট্টগ্রাম নৌরুটে আমদানিরপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেনার পরিবহনসহ অপারেশনাল কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে বিভিন্ন ব্যবসাবান্ধব উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। নদীপথে কন্টেনার পরিবহনের ভাড়া কমানো ছাড়াও নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনালে আরো একটি জেটি পানগাঁওগামী কন্টেনার জাহাজের জন্য বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নদীপথ ব্যবহার করে পানগাঁও টার্মিনালের অপারেশনাল কার্যক্রম আরো গতিশীল করার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ১ ও ১৫ সেপ্টেম্বর দুই দফা বিষয়টি নিয়ে জাহাজ মালিক, আমদানি ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন চবক চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন ও আগস্টের বন্যা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার জট দেখা দেয়। বন্দরের জট কাটাতে পানগাঁওয়ে আমদানি পণ্য খালাসের উদ্যোগ নেয় চবক। গত ২৭ আগস্ট থেকে সব আমদানিরপ্তানিকারককে পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কন্টেনার টার্মিনাল এবং চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে চট্টগ্রামঢাকাচট্টগ্রাম নৌপথে আমদানিরপ্তানির ধারা বজায় রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘চট্টগ্রামপানগাঁও রুট আরো গতিশীল করতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানানো হয়েছে। ২০১৩ সালে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কন্টেনার টার্মিনাল নির্মিত হয়। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিকূলতায় পানগাঁও আইসিটি সেবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। চেয়ারম্যান মহোদয় পানগাঁও আইসিটিকে ব্যবসাবান্ধব করতে বিভিন্ন সুযোগসুবিধা সংযোজন করেছেন। যা আগামীতে অব্যাহত থাকবে বলেও বন্দর সচিব উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, চট্টগ্রামপানগাঁওচট্টগ্রাম রুটে জাহাজের বিদ্যমান ভাড়া কমাতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে নদীপথে কন্টেনার পরবিহনের ভাড়া প্রতিযোগিতামূলক হয়ে আরো কমবে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামপানগাঁওচট্টগ্রাম নৌরুটে নিয়মিত জাহাজ পরিচালনা শুরু হয়েছে। এছাড়া আইজিএম এবং বি/এলএ কন্টেনারের গন্তব্যস্থল হিসাবে পানগাঁও টার্মিনালের নাম উল্লেখ করে এলসি খোলার বিষয়ে আমদানিরপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

বন্দর সচিব বলেন, কাস্টমস জটিলতা নিরসন করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিশেষ উদ্যোগে পানগাঁও কন্টেনার টার্মিনালে শুল্কায়ন কার্যক্রম সহজ করা হয়েছে। আর্ন্তজাতিক কন্টেনার অপারটের সিএমএসিজিএমসহ অন্যান্য শিপিং লাইন্স নদীপথে কন্টেনার পরিবহনের জন্য পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কন্টেনার টার্মিনাল ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করে।

অপরদিকে পানগাঁও আইসিটিগামী জাহাজের জন্য পূর্ব নির্ধারিত নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনালের একটি জেটির পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও একটি জেটি বরাদ্দ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন ২ বিলিয়ন ঋণের বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা বিশ্ব ব্যাংকের
পরবর্তী নিবন্ধঅনিবন্ধিত গ্রাম সিএনজি টেক্সির বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান