পাচারের টাকায় দুবাইয়ে সম্পত্তি : ৭৮ ব্যক্তির তথ্য তলব

| বৃহস্পতিবার , ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

দেশ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ সুইস ব্যাংকসহ বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে পাচার করেছেন তারা। পরে সেগুলো দুবাইয়ে নিয়ে গিয়ে কিনেছেন সম্পত্তি। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আর্থিক খাতের আলোচিত নাম চৌধুরী নাফিজ সরাফতসহ এমন ৪৫৯ বাংলাদেশির খোঁজ পেয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ব্যক্তি ‘গোল্ডেন ভিসা’ সুবিধায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহরটিতে ’৯৭২টি সম্পত্তি’ কিনেছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে সংস্থাটির তিন সদস্যের একটি দল এ অনুসন্ধানে নেমেছে। এর অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে ৭৮ জনের কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে দুদক। খবর বিডিনিউজের।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম চিঠি পাঠানোর তথ্য দিলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি। দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে গত ১৬ এপ্রিল এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রথম দফায় ৭৮ জনের আয়কর বিষয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে ৭৮ জনের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে এসব ব্যক্তির ‘টিআইএন সার্টিফিকেট’ এর ‘ভিউ ডিটেইলস’ চাওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তাদের ‘সকল তথ্য সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন’।

দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের নেতা রাম প্রসাদ মন্ডলের পাঠানো চিঠিতে আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে তথ্য পাঠাতে বিশেষভাবে অনুরোধকরা হয়েছে। চিঠিতে অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘৪৫৯ জন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ মূলধন সুইস ব্যাংকসহ বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে পাচার করে পরে তা দুবাইয়ে ‘গোল্ডেন ভিসা’ সুবিধায় ৯৭২টি প্রপার্টি কেনা হয়েছে।’ তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে দুদক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যাটারি রিকশা চালকদের সাথে তিন ঘণ্টা সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১০
পরবর্তী নিবন্ধওআইসিকে সক্রিয় করতে কাতারের জোরালো ভূমিকার আহ্বান ইউনূসের