পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা

| রবিবার , ২১ এপ্রিল, ২০২৪ at ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স (সিন্দুক) চার মাস ১০ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। দানবাক্সের (সিন্দুক) টাকাগুলো ২৭টি বস্তায় ভরা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের এসব দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৯টি দানবাক্সের ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন গণনার কাজ চলছে। গণনা শেষে কী পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালংকার জমা পড়েছে সেটা জানা যাবে। গণনা কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ছাড়াও ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মাদরাসার ১১২ জন ছাত্র, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃক্সখলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন। খবর বাংলানিউজের।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এবার রমজানের কারণে চার মাস ১০ দিন পর মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়েছে। এর আগে, সর্বশেষ গত বছরের (২০২৩ সাল) ৯ ডিসেম্বর মসজিদের দানবাক্স খুলে গণনা করে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনি প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূরদূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাহাজে কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধলুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ফেরত না দিলে কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনা নয়