পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বাজাউর জেলায় দেশটির রাজনৈতিক দল জামিয়াত উলেমা ইসলাম–ফজল (জেইউআই–এফ) এর সম্মেলনে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৪৪ জন নিহত এবং ১২০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী রহিম শাহ বলেন, ‘বিস্ফোরণের সময় সম্মেলনে পাঁচ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আমরা বয়ান শুনছিলাম। হঠাৎই শক্তিশালী বিস্ফোরণের ধাক্কায় আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফেরার পর দেখি চারিদিকে রক্ত। লোকজন চিৎকার করছে, এমনকি আমি গুলি চলার শব্দও শুনতে পেয়েছি।’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের শত্রু এবং তাদের নির্মূল করা হবে।’ খবর বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার।
গতরাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে পুলিশ বিবিসিকে বলেছে, তারা প্রাথমিকভাবে যেসব আলামত পেয়েছে তাতে এটা আত্মঘাতী হামলা হতে পারে। বিস্ফোরণ স্থলে উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে এবং আহত সবাইকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা। গতকাল জেলার আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী ছোট্ট শহর খারে ওই সম্মেলন চলছিল বলে জানায় দেশটির ইংরেজি ভাষার দৈনিক ডন। বিস্ফোরণে জেইউআই–এফ এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা মওলানা জিয়াউল্লাহ জান নিহত হয়েছেন। ওই সম্মেলনের খবর সংগ্রহ করতে ডনের একজন প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে উপস্থিতি ছিলেন। তিনি জানান, আহতদের মধ্যে স্থানীয় একজন সাংবাদিকও রয়েছেন। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সমপ্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিস্ফোরণের পর আতঙ্কগ্রস্ত লোকজন ঘটনাস্থলে ভিড় করে আছেন। কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স সেখান থেকে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। পরে পুলিশের বড় একটি দল ওই এলাকা ঘিরে ফেলে।
জেইউআই–এফ প্রধান মওলানা ফজলুর রেহমান দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং খাইবার পাখতুনখাওয়া সরকারের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও, দলের কর্মীদের দ্রুত হাসপাতালগুলোতে গিয়ে আহতদের জন্য রক্তের ব্যবস্থা করার আহ্বানও জানান তিনি।