বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১ ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় পাকিস্তানের সংসদ অধিবেশন। উদ্বোধনী অধিবেশনের শুরুতে নির্বাচিত সব পার্লামেন্ট সদস্য শপথ নেন। অধিবেশনে যোগ দিয়ে ইমরান এবং পিটিআইয়ের পক্ষে স্লোগান দেন সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সদস্যরা। এমন অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে পাকিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। এ বিষয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতারা নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তও দাবি করেছেন। খবর বাংলানিউজের।
ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা তাদের যৌথ চিঠিতে পাকিস্তানের সামপ্রতিক সংসদীয় নির্বাচনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা নির্বাচনের দিনে বিধি লঙ্ঘন ও বাধার প্রমাণ উল্লেখ করে নতুন পাকিস্তান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার আগে একটি স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের আহ্বান জানান। ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ৩৩ ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। মিশিগানের প্রভাবশালী মুসলিম আইনপ্রণেতারাও এ চিঠিটিকে সমর্থন করেছেন।
মিশিগানের প্রভাবশালী মুসলিম সদস্য যারা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন–রাশিদা তলাইব, ইলহান ওমর এবং আন্দ্রে কারসন। প্রমিলা জয়পাল, প্রগতিশীল ককাসের চেয়ারপারসন এবং যিনি প্রায়ই কাশ্মীরের পক্ষে ওকালতি করেন, চিঠিটিকে সমর্থন করেছেন। উপরন্তু চেয়ার ইমেরিটাস বারবারা লি এবং হুইপ গ্রেগ ক্যাসারও ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। ককাসের ডেপুটি চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইলহান ওমর। তিনিও স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন।
আইন প্রণেতারা স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের পাকিস্তানে আটক রাজনৈতিক কর্মী এবং মিডিয়া কর্মীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার এবং তাদের মুক্তির পক্ষে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আইন প্রণেতারা ভোট–পরবর্তী কারচুপির বিষয়ে উদ্বেগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এছাড়া ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব, ক্ষমতার অপব্যবহারের ভিডিও প্রমাণ এবং ভোটের মোট পার্থক্য তুলে ধরেছেন।